মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু সাজাপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়ায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পেকুয়া থানার ওসিসহ ১২ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে চকরিয়া পৌর শহরের চিরিঙ্গা এবং পেকুয়ার বারবাকিয়া বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের সময় পুলিশের ও আশপাশের একাধিক গাড়ি ভাঙচুর করে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা।
সংঘর্ষে নিহত ব্যক্তির নাম ফোরকানুল ইসলাম (৫০)। তিনি চকরিয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুল বারী পাড়ার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। নিহত ব্যক্তিকে জামায়াতের কর্মী বলে দাবি করছে স্থানীয়রা।
নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শোভন দত্ত। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। পরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শহরের চিরিঙ্গায় একটি মসজিদে গায়েবানা জানাজা শেষে চকরিয়া পৌর শহরে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে বের হয়।
এ সময় পুলিশ ভ্যান, স্বাস্থ্য বিভাগের গাড়িসহ বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এতে বাধা দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর হায়দার জানান, বারবাকিয়ায় জামায়াত-শিবিরের আক্রমণে তিনি ও থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুদীপ্ত শেখর ভট্টাচার্যসহ ১২ সদস্য আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ বলেন, হঠাৎ গাড়ি ভাঙচুর শুরু করলে পুলিশ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে।
এ সময় তারা পুলিশের ওপর হামলা করে। তবে এ ঘটনায় কোনো মৃত্যুর খবর পুলিশের কাছে নেই। খবর নেওয়া হচ্ছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে চকরিয়া শহরে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ জাতীয় আরো খবর..