অপরিকল্পিত পুকুর খননের কারণে কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সংসদীয় কমিটির সদস্যরা। তারা পুকুর খননের বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়নের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছে। একইসঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্থানে অবৈধ দখলে থাকা ভূমি ও জলাশয় পুনরুদ্ধারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সভাপতি মো. মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, মনোরঞ্জন শীল গোপাল, মো. হাবিবর রহমান, উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, মু. জিয়াউর রহমান ও খান আহমেদ শুভ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কমিটি সূত্র জানায়, বৈঠকে অবৈধভাবে দখলকৃত ভূমি, জলাশয় ও পুকুর পুনরুদ্ধার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়। আলোচনাকালে কমিটির সভাপতি কৃষিজমিতে যেন যাচ্ছেতাইভাবে যন্ত্রতন্ত্র পুকুর খনন করা না হয় সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান। তিনি পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলায় দুই-তিন বছরে কতগুলো পুরুষ কাটা হয়েছে এবং কীভাবে সেগুলো কাটা হলো, সে-বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে চান।
কমিটির সদস্য জিয়াউর রহমান বলেন, তার নির্বাচনী এলাকায় এক জমির মাঝখানে একটি খাস পুকুর আছে। শুষ্ক মৌসুমে সেখান থেকে পানি নিয়ে সকলে চাষাবাদ করতো। কিন্তু বিদ্যমান জলমহাল ইজারা নীতিমালার কারণে এ ধরণের পুকুরের পাশের মালিক বা চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
কমিটির আরেক সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বলেন, সর্বত্রই পুকুর ও খাল ভরাট হয়ে খাচ্ছে।
সরকারি জলাশয়গুলো দখলের ফলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কৃষি উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
সংসদ সদস্যদের বক্তব্যের জবাবে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মন্ত্রণালয় এ সকল বিষয়ে সতর্ক রয়েছে। এছাড়া বালু ও মাটি ব্যবস্থাপনা এবং ভূমি (প্রতিরোধ ও প্রতিকার) সম্পর্কে সংসদে নতুন বিল পাসের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
নতুন আইন পাস হলে ওই বিষয়গুলো সমাধান সহজ হবে।
এদিকে বৈঠকে ‘ভূমি উন্নয়ন কর বিল-২০২৩’ পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বিলটি পাসের সুপারিশ করে সংসদে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া ভূমি সংক্রান্ত বিভিন্ন সরকারি মামলা পরিচালনার জন্য আইনজীবী নিয়োগের পরামর্শ দেওয়া হয়।
এ জাতীয় আরো খবর..