রমনা থানায় দায়ের করা অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের পৃথক দুই মামলায় হাজিরা দিয়েছেন যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট।
বৃহস্পতিবার ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফায়সাল আতিক বিন কাদেরের আদালতে অস্ত্র মামলার ও ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখারের আদালতে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল।
এদিন আদালতে উপস্থিত হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দেন সম্রাট। তার আইনজীবী আফরোজা শাহনাজ পারভীন হিরা দুই মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
২০১৯ সালের ৯ ডিসেম্বর মাদক মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর এসআই আবদুল হালিম।
এর আগে, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেফতার করে র্যার। পরে তাকে নিয়ে দুপুর দেড়টার দিকে তার কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালান হয়। এ সময় ভেতর থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও পিস্তল উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় ৭ অক্টোবর র্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে রমনা থানায় দুটি মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে সম্রাট জামিনে মুক্ত রয়েছেন।
২০২০ সালের ৬ নভেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। মামলার নথি থেকে জানা যায়, সম্রাট রাজধানীর মতিঝিল, ফকিরাপুল, পল্টন, কাকরাইল এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে বিভিন্ন অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেন। তিনি আনুমানিক ১৯৫ কোটি টাকা এনামুল হক আরমানের সহায়তায় সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় পাচার করেন।
এ জাতীয় আরো খবর..