×
  • প্রকাশিত : ২০২৫-০১-৩১
  • ৯ বার পঠিত
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিলেট বন বিভাগের হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন রেঞ্জের জব্দকৃত গাছ নিলামে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, চুনারুঘাট উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মারুফ মিয়া নামে একব্যক্তি নিলামে সিন্ডিকেট তৈরি করে তার নির্ধারিত মহালদারদের ছাড়া কাউকে ডাক দিতে দেননি।'
এমনকি যারা নিলামে ডাক দিতে চেয়েছেন তাদেরকে মারধোর করতে উদ্ধত হয় সে।
ঝামেলা এড়াতে নিলাম কার্যক্রম থেকে বিরত থাকেন সিন্ডিকেটের বাহিরে থাকা মহালদাররা।'
তখন সিন্ডিকেটের সদস্যরা সরকারি মুল্য থেকে ১-২শ টাকা বেশি দিয়ে ৭ লক্ষ ৮০ হাজার টাকায় সকল গাছ কিনে নেন। পরে চুনারুঘাট উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মারুফ মিয়া ও কতিপয় সিন্ডিকেট সদস্যদের নেতৃত্বে চুনারুঘাট ডাক বাংলোতে আলাদা নিলাম অনুষ্ঠিত হয়।'
সেখানে সরকারি মূল্যের চেয়ে ৮ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা বেশি দামে গাছ বিক্রি করেন তারা। এতে করে বিপুল পরিমান রাজস্ব বঞ্চিত হয়েছে সরকার। এদিকে চুনারুঘাট থেকে সরিয়ে পুনঃরায় নিলাম দেওয়ার দাবী মহালদারদের।'
একাধিক মহালদার অভিযোগ করে বলেন, তারা নিলামে ডাক দিতে গেলে প্রকাশ্যে বাঁধা দেন চুনারুঘাট উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মারুফ মিয়া। এসময় একাধিক বার জাহাঙ্গীর খাঁন নামে এক মহালদারের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়ায় সে।'
মোহাম্মদ আব্দুল মুহিন নামে নিলামে অংশগ্রহণকারী অপর আরেকব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, তিনি শালটিলা বন বিটের একটি গাছের লট ডাক দিতে গেলে বাধাঁ দেন চুনারুঘাট উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মারুফ মিয়া। এসময় তিনি ৭৭ হাজার টাকা ডাক দেওয়ার পরেও বন কর্মকর্তা ৭৬ হাজার টাকায় মারুফ মিয়াকে দিয়ে দেন। এ নিয়ে ব্যাপক হট্টগোল দেখা দেয়।'
এবিষয়ে হবিগঞ্জ জেলার সহকারী বন কর্মকর্তাকে জানালে তিনি নিলাম হয়ে গেছে এখন কিছু করার নাই বলে জানান।'
জানা যায়, হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ, রঘুনন্দন ও কালেঙ্গা রেঞ্জের অধীনে বন বিভাগ কর্তৃক জব্দকৃত বিভিন্ন প্রজাতির ৬৮ টি গাছের লট প্রকাশ্য নিলাম দেয় বন বিভাগ। সেখানে সিন্ডিকেট তৈরি করে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে উপজেলা ছাত্রদল নেতা মারুফ মিয়া সহ একটি চক্র।' সেখানে ২৭ জন মহালদার অংশগ্রহণ করলেও সিন্ডিকেটের কারনে ডাক দিতে পারেননি অন্যান্য মহালদাররা। এতে করে একদিকে যেমন মহালদাররা বঞ্চিত হয়েছেন অপরদিকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারিয়েছে সরকার।'
২৯ জানুয়ারি বুধবার দুপুরে ছাত্রদল নেতা মারুফ ও সিন্ডিকেটের এর সদস্যরা লাভের ৮ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা নিজের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করে নেন।'
নিলামে সিন্ডিকেট তৈরি এবং জোরপূর্বক বাধা এবং টাকা ভাগবাটোয়ারার বিষয়ে মারুফ মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে, নিলামে সিন্ডিকেট হওয়ার কথা স্বীকার করলেও তিনি এসবে জড়িত নন বলে দাবী করেন।'
সিন্ডিকেট ও নিলামে অনিয়মের বিষয়ে হবিগঞ্জ জেলা সহকারী বন সংরক্ষক তারেক রহমান বলেন, আমাদের নিলাম কার্যক্রম সুন্দরভাবে শেষ হয়েছে। সেখানে কোন অনিয়ম হয়নি।'

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat