মাসুদ রানা,উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি :
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় শিল্পী খাতুন (৫১) নামের এক গৃহবধূকে জোরপূর্বক গ্যাস ট্যাবলেট খাইয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার রাতে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মুনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গৃহবধূ শিল্পীর মৃত্যু হয়। তার মৃত্যু নিয়ে এলাকায় ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। কেউ বলছে পরিকল্পিত হত্যা, কেউ বা বলছে আত্মহত্যা? নিহতের স্বামীর দাবি পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কতিপয় প্রতিবেশি গৃহবধু শিল্পীকে বাড়ী থেকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে গ্যাস ট্যাবলেট খাইয়ে হত্যা করেছে। নিহত শিল্পী উল্লাপাড়া উপজেলার উধুনিয়া ইউনিয়নের বাগমারা গ্রামের ইনসাফ আলীর স্ত্রী।
গৃহবধূ শিল্পীর স্বামী ইনসাফের ইউডি মামলার প্রেক্ষিতে সিরাজগঞ্জ সদর থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার সকালে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ এম মুনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
ইনসাফ আলী অভিযোগ করে বলেন, প্রতিবেশি ইমান, বারিক, কবির, মোতালেব ও রব্বেলদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে আমার জমিজমার বিরোধ চলে আসছিল। বুধবার আদালতে ঐ বিরোধপূর্ণ জমির মামলার তারিখ ছিল। উক্ত তারিখে আমি সিরাজগঞ্জ আদালতে হাজিরা দিতে গেলে ইমান গংয়ের ৮-১০ জন জোরপূর্ক ঐ জায়গা দখলে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। আমার স্ত্রী শিল্পী খাতুন তাতে বাঁধা দিলে তাকে বাড়ী থেকে মুর্শিদা ও রওশোনা নামের দু'জন মহিলা তাদের বাড়ীতে ধরে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের সবাই মিলে গ্যাস ট্যাবলেট গুলিয়ে জোরপূর্বক আমার স্ত্রী (শিল্পী) কে খাইয়ে দেয়। অন্য প্রতিবেশিরা এগিয়ে এলে অভিযুক্তরা আমার স্ত্রীকে মুমূর্ষু অবস্থায় আমার বাড়ীর আঙ্গিনায় ফেলে রেখে চলে যায়। পরে আমার স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মুনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। কিছুক্ষণ পরেই কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
এব্যাপারে অভিযুক্ত কবির বলে, জমিজমা নিয়ে আমার বোন জামাইদের সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। তবে এমন ঘটনা আসলে সত্য নয়।
উধুনিয়া ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য আছমা খাতুন জানান, তাদের কয়েক বাড়ী দুরেই তার বাড়ী। ঘটনার পরপরই সেখানে তিনি উপস্থিত হই। উপস্থিত সকলে তাকে জানান, গৃহবধু শিল্পীকে প্রতিবেশি মুর্শিদা ও রওশোনা ধরে নিয়ে যায়। কিছু সময় পর তাকে আবার তার বাড়ীতে ফেলে রেখে যায়। গ্যাস ট্যাবলেট খাওয়ানোর ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান, এটা জানা নেই। তবে তার মুখে খুব দুগন্ধ ছিলো।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির জানান, হাসপাতালে মৃত্যুর ঘটনায় তার থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে স্বনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
এ জাতীয় আরো খবর..