×
  • প্রকাশিত : ২০২৫-০১-২৬
  • ২০ বার পঠিত
রাশিমুল হক রিমন, আমতলী
এক কিলোমিটার সড়কের সরকারী গাছ স্থানীয় ইউসুফ সিকদার, মহসিন গাজী, শাহীন ও রুহুল আমিন গাজী লুট করে বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই গাছ রবিবার দুপুরে উপজেলা এলজিইডি কর্তৃপক্ষ তালুকদারহাটের একটি স্ব-মিল থেকে জব্দ করেছেন।  ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলার তালুকদারহাট সড়কে। 
জানাগেছে, ১৯৯৫ সালে আমতলী একে স্কুল থেকে তালুকদারহাট ৮ কিলোমিটার সড়কের দুই পাশে স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তর ডানিডা প্রজেক্টের মাধ্যমে রেইনট্রি, মেহগনি ও চাম্বলসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপন করে। গত ৩০ বছরে ওই গাছগুলো বৃহৎ গাছে পরিনত হয়েছে। গত বছর ৫ মার্চ ওই সড়ক সম্প্রাসরণের জন্য চার কোটি উনিশ লক্ষ ৪৪ হাজার ৩৬৫ টাকা ব্যয়ে এলজিইডি দরপত্র আহবান করে। ওই কাজ পায় বরেন্দ্র কনসক্টাশন নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। জানুয়ারী মাসের শুরুতে সাব- ঠিকাদার চাওড়া ইউপি চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান বাদল খাঁন ওই সড়ক সম্প্রসারণের কাজ শুরু করেন। এতে পাতাকাটা থেকে তালুকদারহাট পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়কের দুই পাশের সরকারী নম্বর দেয়া গাছ উপড়ে ফেলা হয়। স্থানীয় ইউসুফ সিকদার,  মহসীন গাজী, শাহীন গাজী ও রুহুল আমিন গাজী ওই গাছ কেটে নিয়ে গেছে। ওই গাছ তারা বিভিন্ন স্ব-মিলে বিক্রি করে দিয়েছেন। অপর দিকে ওই সড়কের সরকারী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ সংলগ্ন স্থান থেকে ১০ পিস গাছ লুন্ঠনকারীরা লুট করে নিয়ে গেছে। ওই গাছের কোন সন্ধান পাচ্ছেন না এলজিইডি কর্তৃপক্ষ। 
রবিবার খোজ নিয়ে দেখাগেছে, পাতাকাটা গ্রামের ইসমাইল সিকদারের ছেলে ইউসুফ সিকদার তালুকদারহাট একটি স্ব-মিলে সরকারী নম্বর দেয়া গাছ বিক্রি করে দিয়েছেন। স্ব-মিল কর্তৃপক্ষ ওই গাছ স্তুপ করে রেখে দিয়েছেন। 
স্ব-মিল মিস্ত্রি নাশির হাওলাদার বলেন, ইউসুফ সিকদার স্ব-মিলে গাছ বিক্রি করেছেন। কিন্তু এগুলো সরকারী গাছ সেটা  জানা ছিল না। তিনি আরো বলেন, এলজিইডির লোকজন এসে গাছ জব্দ করেছেন।
পাতাকাটা গ্রামের সেন্টু মিয়া বলেন, সরকারী নম্বর দেয়া গাছ স্থানীয় লোকজন কেটে নিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনকে জানালোও তারা ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম মাদবর বলেন, সড়কের পাশের সরকারী গাছ স্থানীয়রা কেটে বিক্রি করছেন। তাদের নিষেধ করা সত্ত্বেও তারা তা মানছেন না। 
গাছ লুটকারী ইউসুফ সিকদার বলেন, ঠিকাদার রাস্তা সম্প্রসারণ করতে ভেকু মেশিন দিয়ে সরকারী গাছ উপড়ে  ফেলেছেন। ওই গাছ আমি কেটে স্ব-মিলে বিক্রি করেছি। তিনি আরো বলেন, এলজিইডির লোকজন ওই গাছ স্ব-মিল থেকে জব্দ করেছেন। 
আমতলী উপজেলা এলজিইডির সিও সিদাম বলেন, লুট হওয়া বিশ পিস গাছ জব্দ করা হয়েছে। 
আমতলী উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মোঃ ইদ্রিস আলী বলেন, গাছ কাটার বিষয়টি জেনেছি। যারা গাছ লুট করেছে তাদের নোটিশ দেয়া হয়েছে। জবাব সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। 
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, উপজেলা প্রকৌশলীর সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে সরকারী গাছ যারা লুট করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।    

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat