রাশিমুল হক রিমন, আমতলী (বরগুনা)
দশ বছরের শিশু কন্যাকে মোটর সাইকেল চালক নুরুল ইসলাম ধর্ষণ করেছে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত শিশুকে স্বজনরা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক শিশুটির উন্নত চিকিৎসার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলার কুলইরচর গ্রামে বুধবার রাতে।
জানাগেছে, উপজেলার কুলইচর গ্রামের ১০ বছরের শিশুর বাবা ও মা কুকুয়া ইউনিয়নের একটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করেন। বুধবার সন্ধ্যায় তাদের প্রতিবেশী রফিক হাওলাদারের জামাতা নুরুল ইসলামের মোটর সাইকেলে শিশু কন্যাকে বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয়। পথিমধ্যে মোটর সাইকেল চালক নুরুল ইসলাম শিশুটিকে জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ শেষে বাড়ীর সামনে রেখে চলে যায়। শিশুটির অভিযোগ ধর্ষণ শেষে ধর্ষক নুরুল ইসলাম তাকে শাসিয়ে যায় এ ঘটনা কাউকে জানালে হত্যা করে ফেলবে। শিশুটি ভয়ে ওই রাতে ঘটনা পরিবারের কাউকে জানায়নি। বৃহস্পতিবার সকালে শিশুটি শরীরের যন্ত্রনা সইতে না পেরে দাদীর কাছে বলে দেয়। পরে স্বজনরা শিশুটিকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ রাশেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান শিশুটির প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের প্রেরণ করেছে। বর্তমানে শিশুটি ওই হাসপাতালে গাইনোক্লোজি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনা চাউর হলে ঘাতক মোটর সাইকেল চালক নুরুল ইসলাম পালিয়েছে। শিশুটি হলদিয়া ইউনিয়য়নের কুলইরচর এলাকার একটি বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্রী।
শিশুটির বাবা বলেন, মোটর সাইকেল চালক নুরুল ইসলাম আমার প্রতিবেশীর মেয়ের জামাই। সরল বিশ্বাসে আমার মেয়েকে ওর সঙ্গে মোটর সাইকেলে বাড়ী পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু পথিমধ্যে নুরুল ইসলাম আমার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ রাশেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান বলেন, শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শিশুটি অসুস্থ।
আমতলী থানার ওসি মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, শিশুটির চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। মেডিকেল প্রতিবেদন পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ জাতীয় আরো খবর..