×
  • প্রকাশিত : ২০২৫-০১-১৬
  • ১৬ বার পঠিত
সরকারি বেতন ভাতা ও  সুবিধাভোগী একজন সহকারী অধ্যাপক কিভাবে এত্তোগুলো প্রতিষ্ঠানের সাথে থাকতে পারে ?

বুড়িচং, আবিদপুর কলেজে MPO পোষ্টে থেকেও সদরে ৩/৪ টি কলেজ বেচাকেনার ফেরিওয়ালা।

কে এই ইফতেখার আলম ভুঁইয়া ?

জামায়াতের নামধারী, শিক্ষা ব্যবসায়ী এই ইফতেখার আলম কলেজ বেচাকেনার ফেরিওয়ালা।
কয়েকজনকে নিয়ে একটি কলেজ করবে , শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কতিপয় দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তার সহযোগিতায় কলেজের পাঠদানের অনুমতি এনে , তারপর ভালো দরদাম পেলে  ইআইআইএন (EIIN ) সম্বলিত ঐ কলেজটি বিক্রি করে দেয় । মাঝে মাঝে সম্পূর্ণ বিক্রি করে দেয় , নতুবা নিজে অথবা ভাইয়ের নামে কিছু শেয়ার রেখে দেয়।

একসময়ে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে এমপিও , তহবিলের বেতন ও অন্যান্য সুবিধা গ্রহণ করার পাশাপাশি কুমিল্লা সিটি কলেজের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। পরবর্তীতে অর্থনৈতিক ক্যালেংকারি ও দলাদলি করে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে উক্ত কলেজ থেকে নিজের পাওনা বুঝে নিয়ে সদলবলে বিতাড়িত হন। আইনগত ভাবে না পারলেই নিজেকে জামায়াতের আর সবাইকে আওয়ামী তকমা লাগিয়ে সুবিধা নেন।
সিটি কলেজ শেষে,
সদর দক্ষিণে নিজেই প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হিসেবে গড়ে তোলেন "রুপসী বাংলা কলেজ যার ভাড়া বাড়ীর ক্যাম্পাস ছিল সদরের হাউজিং এস্টেটে , আবার পরিক্ষা কেন্দ্র ছিল ২৫ কিলোমিটার দূরে পিপুলিয়া মাদ্রাসায়। 
তৎকালীন সদর দক্ষিণের  চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাবলুর সহায়তায় এমন সুবিধাগুলো নিতেন।
পাশাপাশি উক্ত নেতার পরিচালিত "ক্রিয়েটিভ কলেজটি ক্রয় করে নেন ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে যা সাথে সাথে‌ই বিক্রি করে দেন ১৪ লক্ষ টাকায় ।
বলছিলাম কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে এগুলো নিয়ে মুখরোচক গল্প আছে । 
অর্থাৎ কলেজ বেচাকেনার ফেরিওয়ালা ইফতেখার আলম ভুঁইয়া নিজে ও কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার যোগসাজশে" শিক্ষা মন্ত্রনালয় ও শিক্ষা বোর্ডে হেন কোন কাজ পারেনা এমনটি নেই।
নিজে বিগত ১২ বৎসরে ৩ টি কলেজ প্রতিষ্ঠা করলেও সম্পূর্ণ অবৈধভাবে বুড়িচংয়ের  এমপিও আবিদপুর কলেজ থেকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ের সহকারি অধ্যাপক হিসেবে নিয়মিত বেতন ও অন্যান্য সরকারি সুবিধা নিচ্ছেন (বিভাগীয় মামলা চলমান)
সর্বশেষ শাকতলায় সিলভার ডেভেলপারস থেকে ৩ কোটি ব্যয়ে ৪র্থ তলায় কিছু ফ্ল্যাট ক্রয় করে পরিচালনা করছেন " রুপসী বাংলা কলেজ।
৫ আগষ্টের পর আবারো বিতাড়িত কলেজ "কুমিল্লা সিটি কলেজ দখলে নেয়ার পায়তারা হিসেবে ৮/১০ জনের টিম নিয়ে মহড়া দিচ্ছেন।
আজ ঐ কলেজে গেলে সংশ্লিষ্ট কলেজ প্রশাসন ঢুকতে বাধা দিলে চলতি দায়িত্বে থাকা অধ্যক্ষ নাদিম চৌধুরীকে হেস্তনেস্ত করে সম্পূর্ণ কলেজে একটি ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।
এর আগেও সম্পূর্ণ অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে শ্রেনি কার্যক্রম চলা অবস্থায় ক্লাসে ক্লাসে গিয়ে জোর করে বক্তব্য দেয়া , জোরপূর্বক শিক্ষকদের মিটিং- এ অবস্থান নেয়া ও বক্তব্য দেওয়ায় ছাত্র শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ পরিলক্ষিত হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat