ব্যাপক সাড়া জাগিয়ে আজ কলকাতায় শেষ হলো পঞ্চম বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব। গত তিন দিন এই উৎসবকে কেন্দ্র করে জমজমাট ছিল কলকাতার সাংস্কৃতিক অঙ্গন নন্দন চত্বর। দুটি প্রেক্ষাগৃহ নন্দন-১ এবং নন্দন-২–তে দেখানো হয়েছে বাংলাদেশের ২২টি চলচ্চিত্র। প্রতিদিন তিনটি প্রদর্শনী ছিল। আর বিনা মূল্যে এই চলচ্চিত্র দেখানো হয়েছে কলকাতার চলচ্চিত্রপ্রেমীদের। প্রতিদিনই ভিড় উপচে পড়ছিল নন্দন চত্বরে। চলচ্চিত্রপ্রেমীরা লাইন দিয়ে প্রেক্ষাগৃহে প্রবেশ করেছেন। দেখেছেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র। মুগ্ধও হয়েছেন তাঁরা।
আজ উৎসবের শেষ দিনে দেখানো হয়েছে ‘গুণিন’, ‘বিউটি সার্কাস’, ‘মা’, ‘ন-ডরাই’, ‘আলফা’ ও ‘পাপ পুণ্য’। আজ রাত আটটায় এই উৎসবের পর্দা পড়ে।
উৎসবে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র দেখাতে আসা কয়েকজন দর্শকের সঙ্গে কথা হয় প্রথম আলোর। অনেক দর্শক প্রেক্ষাগৃহ থেকে বেরিয়ে বলেছেন, ‘দারুণ করেছে বাংলাদেশ। ভাবতেই পারছি না বাংলাদেশ এত উন্নত মানের ছবি করতে পারে।’
অনেকে এমনও বলেছেন, এই স্বল্প সময়ের এই উৎসবে কলকাতার চলচ্চিত্রপ্রেমীরা খুশি হতে পারছেন না। তাই তিন দিন নয়, চলচ্চিত্র উৎসবের সময়সীমা আরও বাড়ানো হোক। বাড়ানো হোক ছবির সংখ্যাও। আনা হোক ‘সুড়ঙ্গ’, ‘হাওয়া’র মতো ছবিও।
অনেক দর্শক আবার এই দাবিও করেছেন, প্রয়োজনে স্বল্প মূল্যের টিকিটের ব্যবস্থা করে আয়োজন করা হোক বাংলাদেশে চলচ্চিত্র উৎসবের। এতে করে কলকাতার দর্শকেরা বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সম্পর্কে আরও জানতে পারবেন। আমাদের দুই দেশের সংস্কৃতির বন্ধন আরও দৃঢ় হবে।
২৭ জুলাই সন্ধ্যায় কলকাতার নন্দনে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হয়েছিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবের। উদ্বোধন করেছিলেন বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। উদ্বোধনের পর ২৯ জুলাই থেকে তিন দিনব্যাপী এই উৎসবে বাংলাদেশের ২২টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়।
এবারের উৎসবে প্রদর্শিত ছবির মধ্যে রয়েছে ‘হাসিনা: আ ডটার’স টেল’, ‘জেকে-১৯৭১’, ‘গণ্ডি’, ‘গুণিন’, ‘বিউটি সার্কাস’, ‘ন ডরাই’, ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’, ‘লাল শাড়ি’, ‘গেরিলা’, ‘দামাল’, ‘পরাণ’, ‘স্ফুলিঙ্গ’, ‘বিক্ষোভ’, ‘অবিনশ্বর’, ‘রেডিও’ , ‘ওমর ফারুকের মা’, ‘দেশান্তর’, ‘ধড়’, ‘শ্রাবণ জ্যোৎস্নায়’, ‘আলফা’, ‘পাপ পুণ্য’ ইত্যাদি।
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে কলকাতার বাংলাদেশ উপ–হাইকমিশনের ব্যবস্থাপনায় আয়োজন করা হয় এই উৎসবের।
এ জাতীয় আরো খবর..