জকিগঞ্জ (সিলেট) সংবাদদাতা:
জকিগঞ্জ-সিলেট সড়কের কানাইঘাট জুলাই ব্রীজের পাশে ট্র্যাক্টরের সাথে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে চালকের শিশু মেয়ে ইবা আক্তার নিহতের পর গুরুতর আহত তার দাদী খাজুর বিবি (৮০) ও ফুফু সফাতুন নেছা (৪৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন।
জানা যায়, গত ২৫ ডিসেম্বর দুর্ঘটনা কবলিত সিএনজি চালকসহ একই পরিবারের ৬ জন গুরুতর আহত হন। সিলেটের একটি প্রাইভেট হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় অর্থের অভাবে সিএনজি চালক জকিগঞ্জ উপজেলার মাতারগ্রামের আবুল কালামের মা খাজুর বিবি নিজ বাড়িতে মারা যান। এরপর সিলেটে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় শুক্রবার (০৩ জানুয়অরি) সিএনজি চালকের বোন সফাতুন নেছা মৃত্যু বরণ করেন। মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে একই পরিবারের শিশু সহ ৩ জনের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
তবে ৩ জনের প্রাণ-হানি হলেও এখন পর্যন্ত কানাইঘাট থানায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন মামলা দায়ের করা হয়নি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
নিহতের স্বজনরা জানান, মানসিক ভাবে তারা ভেঙে পড়েছেন শোকে স্তব্দ হয়ে সিএনজি চালক আবুল কালাম থানায় কোন মামলা দায়ের করছেন না। তবে থানা পুলিশ দুর্ঘটনা কবলিত ট্র্যাক্টর গাড়ীটি আটক করে।
উল্লেখ্য, ২৫ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে জকিগঞ্জ উপজেলার মাতারগ্রামের সিএনজি চালক আবুল কালাম তার নিজ বাড়ি থেকে সিএনজি গাড়ী চালিয়ে পরিবারের বৃদ্ধ মা সহ পরিবারের ৬ জন সদস্যদের নিয়ে সিলেট শহরের বাসায় যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের কানাইঘাট বাংলাবাজারের পূর্বে জুলাই ব্রীজ সংলগ্ন স্থানে পৌঁছালে হঠাৎ করে দাঁড়িয়ে থাকা ট্র্যাক্টর গাড়ির পিছনে আবুল কালামের সিএনজি গাড়ী নিয়ন্ত্রন হারিয়ে স্বজোরে ধাক্কা লাগে। এতে সিএনজি গাড়ী দুমড়ে-মুছড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই সিএনজি চালক আবুল কালামের শিশু মেয়ে ইবা আক্তার মৃত্যুবরণ করে। এরপর আহত অবস্থায় মারা যান খাজুর বিবি ও সফাতুন নেছা।
এ জাতীয় আরো খবর..