নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার আধাইপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংস্কারের জন্য অনুদানের টাকা বিনামূল্যে সরকারি বই বিতরণের সময় জিম্মি করে ছাত্র ছাত্রীদের অভিভাবকদের নিকট থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি বই উৎসবের দিনে যারা টাকা দিতে পারেনি তাদেরকে বই দেওয়া হয়নি বলে অভিভাবকরা জানিয়েছেন।
উপজেলার আধাইপুর ইউপির বিষ্ণপুর বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী রসূলপুর গ্রামের আবু তালেব এর স্ত্রী বলেন, আমার মেয়ে রুবাইয়া ইয়াসমিন চতুর্থ শ্রেনীতে রয়েছে, তার জন্য পাঠ্যবই নিতে গেলে প্রধান শিক্ষাকা লিলি পারভীন ২০০ টাকা দাবি করেন। এছাড়াও ঐ এলাকার তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী নন্দ, অরন্য সহ আরো অনেকের কাছে থেকে পাঠ্যবই দিয়ে ২০০ টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসা. লিলি পারভীন বলেন, পাঠ্যবইয়ের জন্য টাকা নেওয়ার অভিযোগ সত্য নয়। আমরা গরীর শিক্ষার্থীদের দারিদ্র্যতা বিমোচনের জন্য অনুদানের ২০০ টাকা করে নিয়েছি, পাঠ্যবই বিতরণের প্রথম দিন ১ ম- ৩ য় শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে বই বিতরণ করা হয়েছে। বই বিতরণের সময় ২০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। এই টাকা আমরা স্কুল সংস্কারের কাজে ব্যবহার করবো।
উপজেলার রসূলপুর গ্রামের মাফিজুল, আলম,উজ্জল,শ্রীকৃষ্ণ সহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরো অনেকে জানান, প্রধান শিক্ষক নিজ এলাকার সুবাধে আরো আগে থেকেই স্কুল সংস্কারের কথা বলে এ রকম টাকা নেয়। যার কোন হিসেব পত্র নেই। এভাবে একটি সরকারি স্কুলে বিনামূল্যে বই দেওয়ার দিনে নগদ টাকা নেওয়া পুরোপুরি অনিয়ম। আমরা এর একটা সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি।
বদলগাছী উপজেলার ছাত্র প্রতিনিধি আতিকুল ও সুভ বলেন, বই বিতরণের সময় টাকা নেওয়া খুবই দুঃখ জনক ঘটনা। আমরা ঘটনা জানার পর উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়ের সাথে কথা বলেছি।
বদলগাছী উপজেলা শিক্ষা অফিসার আমিরুল ইসলাম বলেন, বই বিতরণ, ভর্তি বা অন্য কোন বিষয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টাকা নেওয়ার কোন বিধান নেই। আর বিদ্যালয়ের উন্নয়নে জন্য সরকার টাকা দেয়, তবে স্লিপের অনুদানের জন্য টাকা নেওয়ার কথা ছিলো তবে অনুদান ছাড়া অন্য কোন বিষয়ে টাকা নিয়েছে কিনা তা তদন্ত করার পরা জানাযাবে।