রহমত আল আকাশ, দিনাজপুর প্রতিনিধি:
বিদায়ী বছরের শেষ দিনে কনকনে হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় বিপর্যস্ত দিনাজপুরের জনজীবন। গ্রামের নিম্ন আয়ের মানুষগুলো খরকুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। ঘন কুয়াশার কারণে সন্ধ্যার পর থেকে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হয়। সড়ক-মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করছে। নিতান্তই প্রয়োজন কিংবা জীবিকার তাগিদে ছুটে চলা মানুষের দেখা মিলছে পথে-ঘাটে।
আজ মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দিনাজপুরের চূড়ান্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.৪ ডিগ্রি
সেলসিয়াস (যা দেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা)।
বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৪% এবং বাতাসের গড় গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ৩ কিলোমিটার।
দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায় ১০.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দিনাজপুরের আশপাশ সহ দেশের অন্যান্য কয়েকটি জেলার আজকের সকাল ৬ঃ০০ টার তাপমাত্রা: সৈয়দপুর: ১২.৮, রংপুর: ১৩.০, রাজারহাট (কুড়িগ্রাম): ১১.৫, ডিমলা (নিলফামারী): ১২.৪, বদলগাছি (নওগাঁ): ১১.৫, বগুড়া: ১৩.৮, ঈশ্বরদী (পাবনা): ১৩.০, রাজশাহী: ১৩.৪, চুয়াডাঙ্গা: ১৩.০, যশোর: ১৩.৬ এবং শ্রীমঙ্গল (সিলেট): ১১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস
সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন।
পার্বতীপুর থেকে দিনাজপুরের আত্মীয়ের বাড়িতে আসা আব্দুস সোবহান বলেন: দিনাজপুরে আজ খুব শীত, খুব ঠান্ডা ল্যাগছে, এরকম ঠান্ডা হলে আমার মতো বয়স্কের খুব কষ্ট হয়।
আলু চাষি রফিক মিয়া বলেন, দুঃখের কথা কি কহবো ভাই, আজকে খুব শীত, শীতের কারণে মাঠে থাকা যায় না, আলুর গাছ ও কুকড়ে যাচ্ছে, পচন ও ধরতে পারে।
স্থানীয় এক রিকশাচালক বলেন, ঘন কুয়াশা আর শীতের কারণে সকাল সকাল কোনো মানুষ বাসা থেকে বের হচ্ছে না। যার ফলে রিকশায় লোকজন উঠে না। আমার আয় কমে গেছে। সংসার পরিচালনা করতে কষ্ট হচ্ছে। শীতকে উপেক্ষা করে রিকশা নিয়ে বাহির হয়েছি।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কয়েক দিনের তুলনায় ঘন কুয়াশা সেই সঙ্গে বেড়েছে শীতের দাপট। এতে বিপাকে পড়ে খেটে খাওয়া মানুষ। এদিকে দুপুরে একটু গরম ও রাতে তীব্র শীতের কারণে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগব্যাধি। দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ ও জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন
এ জাতীয় আরো খবর..