পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলায় কলাপাড়া উপজেলা শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি জুয়েল প্যাদা(৩০) কে ধাড়ালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তার বাম হাতের কব্জি কেটে নেওয়ার ঘটনার ৬ ঘন্টার মধ্যে বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার সময় ঘটনার সাথে জড়িত বশির চৌকিদার ও সোহেল হাওলাদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
৫ নভেম্বর বৃহষ্পতিবার সকাল ১০ টায় জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স কক্ষে এক প্রেস কনফারেন্সে এ গ্রেফতার ঘটনা জানান জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসান পিপিএম। তিনি জানান, শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি জুয়েল প্যাদা ঘটনার দিন বুধবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে মোটরসাইকেল যোগে পশ্চিম টিয়াখালী বাড়িতে ফেরার পথে অন্ধকারে নির্জনস্থানে কতিপয় দুর্বৃত্ত পূর্ব শত্রুতার জেরধরে অতর্কিতভাবে হামলা করে ধাড়ালো দা দিয়ে কুপিয়ে তার (জুয়েল প্যাদা) বাম হাতের কব্জি কেটে ফেলে এবং ডান হাত কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। খবর পেয়ে জুয়েল প্যাদার ভাই খোকন প্যাদা স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাকে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জুয়েল প্যাদাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। তার অবস্থা আশংখাজনক হলে পরে তাকে ঢাকা জাতীয় অর্থোপেডিক (পঙ্গু হাসপাতালে) ভর্তি করা হয়।
পুলিশ সুপার প্রেস কনফারেন্সে জানান, তাদের প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানতে পেরেছেন, জুয়েল প্যাদা এলাকায় জমির দালালী করেন। জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ ও অভ্যন্তরীন কোন্দলের জেরধরে অজপাড়ার নির্জন ও দুর্গম কাঁচা রাস্তার উপর একাকী পেয়ে ৪/৫ জন দুর্বৃত্ত জুয়েল প্যাদার উপর হামলা করে ধাড়ালো দা ও ছোড়া দিয়ে কুপুয়ে বাম হাতের কব্জি কেটে ফেলে এবং ডান হাত কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
আরোও পড়ুনঃ বৈদ্যুতিক বাতির গোডাউনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১৩ ইউনিট ***
এ ঘটনার পর তার (পুলিশ সুপারের) দিকনির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মেহাম্মদ মাহফুজুর রহমান এর নেতৃত্বে একটি চৌকস দল আাসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। এ অভিযানের এক পর্যায় রাত আনুমানিক আড়াইটায় বরগুনা জেলার আমতলী থানাধীন প্রত্যন্ত পূজাখোলা গ্রামে দুই কিলেমিটার কাঁদা রাস্তা হেঁটে বশির চৌকিদার ও সোহেল হাওলাদারকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। তাদের নিকট থেকে হামলার কাজে ব্যবহৃত একটি ছোরা ও একটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ সুপার জানান। অন্যান্য সহযোগিদের গ্রেফতারের চেষ্টাসহ ঘটনার উদঘাটন এবং ঘটনা সংক্রান্তে আইনগত ব্যবস্থার প্রক্রিয়া চলছে বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান জানান। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শেখ বেল্লালসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন।