দেবহাটা উপজেলা প্রতিনিধি :
সারাদেশের ন্যায় দেবহাটা উপজেলায় ব্যবস্থাপনা বিভাগের আওতায় বাংলাদেশে পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন অর্থনৈতিক শুমারি-২০২৩ প্রকল্পের কর্মী নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় কয়েকজন যুব প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসের এক কর্মকর্তাকে বিশেষ সুবিধা দিয়ে এ অনিয়ম করা হয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে পূর্বে জনশুমারি ও গৃহগণনা- ২০২২ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় যারা গণনাকারী ও সুপারভাইজার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের অনেককে বাদ দিয়ে নতুন লোক নিয়োগ করা হয়েছে। আর এতে বিশেষ সুবিধার মাধ্যমে এনজিও কর্মী, শিক্ষক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগপ্রাপ্তদের নেওয়া হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, উপজেলায় ১৩ জন সুপারভাইজার, ৭০ জন গণনাকারী নেওয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক এক বিজ্ঞপ্তিতে জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় গণনাকারী ও সুপারভাইজার হিসাবে দায়িত্ব পালন করীদের নিয়োগ করার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। নিয়োগের শর্তে জনশুমারি ও গৃহগণনা- ২০২২ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় যারা গণনাকারী ও সুপারভাইজার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন, কেবল মাত্র তারাই আবেদন করতে পারবেন বলে জানানো হয়। একই সাথে জনশুমারি ও গৃহগণনা- ২০২২ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় যারা যে পদে দায়িত্ব পালন করেছেন, তারা সেই পদে আবেদন করবেন। এছাড়া সরকারী/বেসরকারী সংস্থায় চাকুরীরত প্রার্থী আবেদনের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন বলে জানানো হলেও নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। এমনকি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকুরীরতদের নিকট থেকে বিশেষ সুবিধা নেওয়ার জন্য বিভিন্ন এলাকায় সুপারভাইজারদের মাধ্যমে নতুন লোক নিয়োগ করা হয়েছে। আর এসব কাজের নেতৃত্ব দিয়েছেন পরিসংখ্যান অফিসের জোনাল অফিসার অজয় কুমার গোলদার ও ফারুক হোসেন। এবিষয়ে অজয় কুমার গোলদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগের বিষয়ে অস্বীকার করেন।
অপরদিকে উপজেলা পরিসংখ্যান কর্র্মকর্তা কাজী সিদরাতুল মুনতাহা জানান, আমি যোগাদানের আগে তালিকা হয়েছে আর যদি কেউ টাকা বা অবৈধ লেনদেন করেন সে বিষয়ে খোঁজ নিব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানান, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ জাতীয় আরো খবর..