রহমত আল আকাশ, দিনাজপুর :
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির কয়লা উত্তোলন সাময়িকভাবে হ্রাস পেয়েছে। এ কয়লাখনির ১৪১৪ নম্বর ফেজের উত্তোলনযোগ্য কয়লা প্রায় শেষ হওয়ায় নতুন ১৩০৫ নম্বর ফেজে যন্ত্রপাতি স্থাপনের জন্য কয়লা উত্তোলন সাময়িকভাবে হ্রাস পেয়েছে।
রবিবার (১লা ডিসেম্বর ২৪) থেকে ধীরগতিতে এই কার্যক্রম চলবে। "দৈনিক সোনালী কন্ঠ'কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক ( চলতি দায়িত্ব) খান মো. জাফর সাদিক।
উল্লেখ্য যে, গত ৩ আগস্ট থেকে ১৪১৪ নম্বর ফেজ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়। প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টন কয়লা উত্তোলনের মাধ্যমে মোট ৪ লাখ ৬৪ হাজার টন কয়লা উত্তোলন করা হয়।উত্তোলনযোগ্য কয়লা মজুত শেষ হওয়ায় বর্তমানে নতুন ১৩০৫ নম্বর ফেজ যন্ত্রপাতি স্থাপন করা ও কারিগরি প্রস্তুতি চলমান রয়েছে।
১৩০৫ নম্বর ফেজ থেকে প্রায় ৩ লাখ ৬০ হাজার টন কয়লা উত্তোলনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যন্ত্রপাতি স্থাপনসহ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শেষ করে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে উত্তোলন শুরু হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন খনি কর্তৃপক্ষ। বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে উত্তোলিত কয়লার মাধ্যমে পরিচালিত ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বর্তমানে ৩ দশমিক ৫ লাখ টন কয়লা মজুত রয়েছে।
বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক জানান, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে উৎপাদিত কয়লা দিয়ে ৫২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়। বর্তমানে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইয়ার্ডে সাড়ে ৩ লাখ টন কয়লা মজুত রয়েছে। আর ১৬৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন তিন নম্বর ইউনিটটি চালু রয়েছে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বাকি দুটো ইউনিট বন্ধ রয়েছে। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রতিদিন ১ হাজার ৬০০ টন কয়লার প্রয়োজন হয়।
বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক জানান, কয়লা উত্তোলনের ফেইস পরিবর্তনের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কোনো দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন।
এ জাতীয় আরো খবর..