মনিরুজ্জামান রাসেল (শেরপুর)
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত সংস্কার ও জ্বালানি অপরাধীদের বিচারের দাবিতে শেরপুরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে কনজ্যুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) শেরপুর জেলা শাখা। ক্যাব প্রস্তাবিত জ্বালানি রূপান্তর নীতি-২০২৪ বাস্তবায়নে অ্যাডভোকেসি ক্যাম্পেইনের আওতায় ১৭ নভেম্বর রবিবার সকাল ১০ টা হতে ১১ টা পর্যন্ত শহরের রঘুনাথ বাজার (থানা মোড়ে) ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন থেকে বিদ্যুৎ ও প্রাথমিক জ্বালানি সরবরাহের সকল পর্যায়ে স্বচ্ছতা, ন্যায্যতা,সমতা, যৌক্তিকতা ও জবাবদিহিতা তথা জ্বালানি সুবিচার নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়। সেই সাথে জনগণ যেন সঠিক দাম ও মাপে বিদ্যুৎ এবং প্রাথমিক ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি সেবা পায় এবং লুন্ঠনের শিকার না হয়, এজন্য ক্যাব প্রস্তাবিত বাংলাদেশ জ্বালানি রূপান্তর নীতি - ২০২৪ বাস্তবায়নে ২১ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।
ক্যাব শেরপুর জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাংবাদিক সুশীল মালাকারের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক হাকিম বাবুল,নাগরিক প্ল্যাটফরম জনউদ্যোগ আহবায়ক শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ, সদর উপজেলা সিপিবি র সভাপতি দেবদাস চন্দ বাবু, আদিবাসী নেতা সুমন্ত বর্মন প্রমুখ।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, জ্বালানি অধিকার রক্ষা, পরিবেশগত বিপর্যয় এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য জ্বালানি সুবিচার নিহিত। একই সময়ে, ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে জ্বালানি মূল্য বজায় রেখে জ্বালানি সুবিচার নিশ্চিত করতে হবে। ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে ন্যায্য এবং সাশ্রয়ী মূল্যে পরিবেশবান্ধব প্রাথমিক জ্বালানি এবং বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করার মাধ্যমে ন্যায্য এবং টেকসই জাতীয় জ্বালানি সুবিচার নিশ্চিত করার জন্য জ্বালানি রূপান্তর নীতির প্রয়োজনীয়তা আবশ্যক।
দাবি বাস্তবায়নে মানববন্ধন থেকে ক্যাবের গণস্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয় এবং আগামী ১৯ নভেম্বর মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে ২১ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করার কথা জানানো হয়।মানববন্ধনে শিক্ষক, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, যুব নেতৃত্ব ও সুধীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন
এ জাতীয় আরো খবর..