রাশিমুল হক রিমন (আমতলী প্রতিনিধি) : আমতলী উপজেলার পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি মোঃ মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের মামলা করা হয়েছে। গুলিশাখালী ইউনিয়ন পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব অ্যাড. নুরুল ইসলাম আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মঙ্গলবার এ মামলা দায়ের করেছেন। আদালতের বিচারক মোঃ রাকিব হোসেন মামলাটি আমলে নিয়ে আসামী মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন। অভিযোগ রয়েছে সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মজিবুর রহমান ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে গত ১৫ বছরে শালিস বৈঠকের নামে বিভিন্ন মানুষের গচ্ছিত কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। কিন্তু সাধারণ মানুষ ভয়ে তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায়নি।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়ন পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম ২০২১ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি উপজেলা পরিষদ সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি মোঃ মজিবুর রহমানের কাছে সাত লক্ষ টাকা গচ্ছিত রাখেন। ওই টাকা চাইতে গেলে তিনি (মজিবুর) টাকা না দিয়ে টালবাহানা শুরু করেন। এ নিয়ে বরগুনা জেলা আইনজীবি সমিতিতে বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে তিনি অল্প দিনের মধ্যে টাকা ফেরত দিবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু গত চার বছর পেরিয়ে গেলেও তিনি ওই গচ্ছিত টাকা ফেরত দেয়নি। টাকা ফেরত না দেয়ায় মঙ্গলবার নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মজিবুর রহমানকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। আদালতের বিচারক মোঃ রাকিব হোসেন মামলাটি আমলে নিয়ে আসামী মজিবুর রহমানকে আগামী ২১ নভেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মজিবুর রহমান ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে গত ১৫ বছরে শালিস বৈঠকের নামে বিভিন্ন মানুষের গচ্ছিত কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। কিন্তু সাধারণ মানুষ ভয়ে তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায়নি।
মামলার বাদী আলহাজ্ব অ্যাড. নুরুল ইসলাম বলেন, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মজিবুর রহমানের কাছে সাত লক্ষ টাকা গচ্ছিত রেখে আমি ঢাকা যাই। ঢাকা থেকে এসে টাকা ফেরত চাইলে তিনি ফেরত দিতে টালবাহানা করে। এভাবে গত চার বছর কাটিয়ে দেয়। পরে বরগুনা আইনজীবি সমিতিতে বৈঠক হলে তিনি টাকা ফেরত দিবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু টাকা ফেরত দেয়নি। নিরুপায় হয়ে আমি আদালতে মামলা দায়ের করেছি।
মামলার আসামী উপজেলা পরিষদ সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি মোঃ মজিবুর রহমারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবি মোঃ মহসিন মিয়া বলেন, আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আসামী মজিবুর রহমানকে আগামী ২১ নভেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এ জাতীয় আরো খবর..