আবুল হাসনাত রিন্টু, ফেনী: চুরি মামলার আসামি ছেলেকে না পেয়ে ৬৫ বছর বয়সী শারীরিক প্রতিবন্ধী মাকে গ্রেফতার করেছে ছাগলনাইয়া থানা পুলিশ।
একই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশের হয়রানির শিকার বৃদ্ধা তরিকের নেছার বাড়ি ছাগলনাইয়া উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নে। তিনি কুয়েতপল্লীর মৃত আবদুল মুনাফের স্ত্রী। ভিক্ষা করে নিজের সংসার চালাতেন।
ওই পল্লীর বাসিন্দাদের অভিযোগ, কুয়েত সরকারের অর্থায়নে ছাগলনাইয়ার শুভপুরে গড়ে ওঠা পল্লীর একটি লেক ভরাট করে উপজেলা বিএনপির সদস্য কামাল উদ্দিন ব্রিকফিল্ড গড়ে তোলেন। এই ইটভাটার কারণে পরিবেশ দূষিত হওয়ায় কামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করে আসছিলেন বাসিন্দারা।
সম্প্রতি তারা মানববন্ধনসহ বিভিন্ন দফতরে আবারও লিখিত অভিযোগ দেন। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন কামাল উদ্দিন। এদিকে গত সেপ্টেম্বর মাসে কামাল ব্রিকফিল্ডে হামলা ভাঙচুর ও চুরির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় কুয়েত পল্লীর বাসিন্দাদের নামে চুরির মামলা করেন কামাল ব্রিকফিল্ডের মালিক কামাল উদ্দিন। মামলায় বৃদ্ধা তরিকের নেছার ছেলে মাটি শ্রমিক সোহাগকেও আসামি করা হয়।
সোহাগের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী চম্পা জানান, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে তার স্বামীকে গ্রেফতার করতে অভিযান চালায় এসআই মোক্তারের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা। তখন ঘরে তার স্বামী ছিলেন না। তিনি পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে নিজেকে রক্ষা করেন। তবে ঘরে থাকা তার অসুস্থ শাশুড়ি তরিকের নেছাকে টেনেহিঁচড়ে আটক করে পুলিশ। পল্লীর বাসিন্দা রিফা আক্তার জানান, বৃদ্ধা তরিকের নেছার এক হাত ও এক পা অচলের মতো।
ওসি নজরুল ইসলাম জানান, চুরি হওয়া দুইটি ফাইল ক্যাবিনেট বৃদ্ধার ঘরে পাওয়া গেছে। মামলার এজাহারে তার নাম না থাকলেও তাকে গ্রেফতার করতে হয়েছে। তবে প্রতিবন্ধীর বিষয়টি গ্রেফতারের সময় তৎক্ষণাৎ কেউ উপস্থাপন করেননি।
এ জাতীয় আরো খবর..