কুমিল্লার ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের নিমসার বাজারে সরকারি জমি দখল করে গড়ে তোলা দুই শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ১০টায় কুমিল্লা জেলা প্রশাসন এবং সড়ক ও জনপদের যৌথ উদ্যোগে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এর আগে অবৈধ দোকানপাট সরিয়ে নিতে বলা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. মঈণ উদ্দিন ও সড়ক ও জনপদের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম। অভিযানে কুমিল্লা জেলা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সহযোগিতা করে।
অভিযোগ রয়েছে, মহাসড়কের জায়গা দখল করে অবৈধভাবে ভাড়া আদায় করছিল একটি অসাধু চক্র। এছাড়া প্রতিবার দখলদার উচ্ছেদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ওই চক্রটি আবারও সরকারি জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করে মহাসড়কে যান চলাচলে বাধার সৃষ্টি করে।
সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুই পাশে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কাঁচা সবজির বাজার নিমসার বাজারে অবৈধভাবে দোকানপাট নির্মাণ করে মহাসড়কের জায়গা দখল করা হয়েছিল। এছাড়া অস্থায়ীভাবে দোকানপাট নির্মাণ করে মহাসড়কের বিভাজক ব্যবহার করা হচ্ছিল। যে কারণে প্রতিনিয়ত এই এলাকায় যানজটের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। তাই সড়ক ও জনপদ বিভাগ এবং জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে, মহাসড়কের পাশে সার্ভিস লেনের জায়গা দখল করে রাজনৈতিক প্রভাবে ভাড়া দেওয়া হয়েছিল বেশ কয়েকটি দোকান। সেসব দোকান থেকে অবৈধভাবে টাকা উত্তোলন নিয়েও বিভিন্ন সময়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। নানান অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশনা ও প্রশাসনের সিদ্ধান্তে দেশের এই বৃহত্তম কাঁচাবাজার থেকে খাজনা আদায়ও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. মঈণ উদ্দিন বলেন, ‘সাধারণ মানুষের ভোগান্তি রোধেই এই দখলদার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। একদিনে সম্ভব না হলে আমরা আবারো এখানেও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করব। তবে মহাসড়কের জায়গায় কেউ অবৈধভাবে দোকানপাট তৈরি করে যানজট কিংবা ভোগান্তি তৈরি করতে পারবে না।’
সড়ক ও জনপদের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সময় দেখেছি ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুই পাশে নিমসার বাজারকে কেন্দ্র করে অবৈধভাবে অস্থির দোকানপাট তৈরি করে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। এসব বিষয়ে সড়ক বিভাগ কিংবা প্রশাসন কারো কোনো অনুমতি নেই। এছাড়া সড়ক বিভাজক ব্যবহার করেও ব্যবসা করছে অনেকে। যে কারণে রাতে ও ভোরবেলায় মহাসড়কে যানজট তৈরি হয়। আমরা মহাসড়কে যান চলাচল নিরিবিচ্ছিন্ন রাখতে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করার জন্য এই অভিযান পরিচালনা করছি।