স্বাধীনবাংলা, জামালপুর প্রতিনিধি :
জামালপুরে মাদারগঞ্জ উপজেলায় মা ও ছেলের লাশ উদ্ধার করেছেন মাদারগঞ্জ থানা পুলিশ। এ ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে নিহতের স্বামী হারুন অর রশিদ পলাশকে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বামী তার পরকীয়া প্রেমের কথা ও হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পরকীয়া প্রেমিকা রুবিনা (৩০) ও তার স্বামীকে আটক করেছে থানা পুলিশ । তাদের বাড়ি একই ইউনিয়নে ক্ষুদ্র জোনাইল। হত্যা কান্ডের ঘটনাটি ঘটে উপজেলার গুনারিতলা ইউনিয়নের চর গোপালপুর গ্রামে। বুধবার(২৬ আগষ্ট) ভোর সকালে লাশ দুটি উদ্ধার করে মাদারগঞ্জ মডেল থানায় নিয়ে যায়
পুলিশ। মঙ্গলবার(২৫ আগস্ট) রাতের কোন এক সময় খুন করে স্ত্রী শিখা (৩৫) ও পুত্র সন্তান তৌফিক (০৩) কে ।
নিহতের স্বামী চর গোপালপুর গ্রামের ফজলুর রহমান মেম্বারের ছেলে। নিহতের বাবা মোকছেদ আলী ও মা হাজেরা বেগম বীর গোপালপুরের বাসিন্দা ।জানা যায় ,নিহতের স্বামী গোপালপুর বাজারের শো মিল ব্যবসায়ী। স্বামী হারুন অর রশিদ পলাশ প্রথমে রাতে মাছ ধরতে যাওয়ার নাটক সাজান । তিনি বলেন, রাত তিনটার দিকে বাড়িতে ফিরে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় মা ও ছেলে পড়ে আছে।
বিষয়টি জানাজানি হলে সকালে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে। পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিমা রানী সরকার।মাদারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত
করে
জানান, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য
মরদেহ
জামালপুর সদর হাসপাতারের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এই রিপোর্ট লেখা
পর্যন্ত
কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি, তবে মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে। নিহতের স্বজনরা জানান, পলাশ দুই বছর আগে বিদেশ থেকে আসার পর পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে এবং বিষয়টি জানাজানি হলে তার স্বামী এবং শ্বশুর -শ্বাশুড়ি তাকে প্রায়ই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো । থানা সুত্রে জানা যায়, পোস্ট মর্টেমের পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।