×
সদ্য প্রাপ্ত:
ছাত্রদের সঙ্গে পরিচ্ছন্ন চট্টগ্রাম গড়ার অঙ্গীকার মেয়র ডা. শাহাদাতের সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তকদীর হোসেন মো. জসিমের ওপর হামলা সরবরাহে কৃত্রিম সংকট তৈরিতে কঠোর পদক্ষেপ: বাণিজ্য উপদেষ্টা খুলনা আদালতের জেলা পিপি এড.তুষার, জিপি এড. জাকির ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ দেশের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার হরণ করে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে --আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী শ্রীপুরে বিএনপি নেতার উপর হামলা করে টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ। কুড়িগ্রাম জেলায় টি আর সি পুলিশ পদে চুড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ। ম্মেলনে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তকদীর হোসেন মো. জসিমের ওপর হামলা। সশস্ত্র বাহিনীর বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রধান উপদেষ্টার বাংলাদেশ ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায় : প্রধান উপদেষ্টা
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৮-১০
  • ৪১ বার পঠিত
সোহেল কবির, স্টাফ রিপোর্টার:
পরিবারের দুই ভাইয়ের মধ্যে ছোট মাহমুদুর রহমান খান সোহেল। চাকুরী করছেন বেসরকারী একটি এয়ারলাইন্সের কার্গো বিভাগে। পরিবারে মধ্যে যেমন ছিলেন অনেক আদরের, তেমন এলাকায়ও ছিলে সকলের খুব প্রিয় একজন মানুষ। সব সময় গরীব অসহায় মানুষের থাকতেন তিনি। সারা দেশে যখন কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হয় তখন তিনি শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে যোগ দেন আন্দোলনে। গত ৪ আগষ্ট রাজধানীর উত্তরা এলাকায় শিক্ষার্থীদের সাথে মিলে সংস্কার আন্দোলনের সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয় সোহেল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেন সে। তার মৃত্যুতে পরিবার ও এলাকায় নেমে আসে শোকে ছায়া।

জানাযায়, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কাঞ্চন পৌরসভার ত্রিশকাহনীয়া এলাকার বকুল খানের ছেলে মাহমুদুর রহমান খান সোহেল। চাকুরী করতেন ইত্তিহাত এয়ারলাইন্সের কার্গো বিভাগে। সেই সুবাদে স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়েকে নিয়ে বসবাস করতেন রাজধানী উত্তরা এলাকায়। গত ৪ আগষ্ট বাড়ী থেকে কোন কিছু না বলে বের হয় সে। বেলা  ১২টারদিকে সে তার বন্ধু রনিকে ফোন করে বলেন ভাই আমি ছাত্রদের সাথে উত্তরা আছি আন্দোলন করতেছি, বাচঁলে দেখা হবে। এটাই ছিল তার  সে কথা। এর কিছুক্ষন পরেই মাথায় গুলিবিদ্ধ হয় সোহেল। গুরুতর অবস্থায় তাকে শিক্ষার্থীরা নিয়ে যায় স্থানীয় একটি হাসপাতালে। পরে অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে। এদিকে শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টারদিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারাযান তিনি। এদিকে তার পুরো এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। শনিবার সকালে নিজ বাড়ী ত্রিশকানীয় এলাকায় নামাযের জানাযা শেষে দাফন করা হয় তার।

তার মৃত্যুতে বাড়ীতে পরিবারের মধ্যে নেমে এসেছে হতাশা। কিভাবে তার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে বেচেঁ থাকবে। কিভাবে সন্তানদের করবেন মানুষের মত মানুষ।

বাবার কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ছেন ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পডুয়া একমাত্র ছেলে মাসনুন রহমান খান। তার বাবাকে যারা হত্যা করেছেন তার বিচার দাবী করেছেন সরকারের কাছে।

আপন ছোট ভাইকে হারিয়ে এনেকটা বাকরুদ্ধ হয়ে গেছেন বড় ভাই শামীম। তার ভাইকে যারা গুলি করে হত্যা করেছেন তাদের বিচার দাবী করেছেন তিনি।

সোহেলকে যারা হত্যা করেছেন তাদের সঠিক বিচার দাবী করেছেন ও সরকার যেন তার পরিবারের জন্য কিছু করেন এ দাবী করেছেন তার বন্ধু স্থানীয় ব্যক্তিরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat