অজুফা আক্তার,সরাইল প্রতিনিধিঃ সরকারি জায়গা দখলদারের স্থাপনা উচ্ছেদ করতে চিঠির প্রেরণ করাই। গতকাল রবিবার দখলদাররা মামলার হুমকি দিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার( ইউএনও) মো.মেজবা উল আলম ভূইঁয়াকে।
ইউএনও সরকারি কার্যলয়ে ঢুকে এ মামলার হুমকি দেন অরুয়াইল ইউনিয়নের অরুয়াইল বাজারের নদীর জায়গা দখলকারী কয়েক জন। যার সততা সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মেজবা উল আলম ভূইঁয়া স্বীকার করেছেন।
সরাইল উপজেলা ৯ টি ইউনিয়ন নিয়ে ঘঠিত তার মধ্যে অরুয়াইল ইউনিয়নের চারদিকে নদী দিয়ে ঘেরা। সরাইল উপজেলার মাঝে সবচেয়ে বড় বাজার অরুয়াইল বাজার। ভাটি অঞ্চলের এই ঐতিহ্যবাহী বাজারটি ব্যবসা বহুল এলাকা। বড় বড় নৌকা জাহাজ দিয়ে এ বাজারে মাল আনা নেওয়া করা হয় বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে।
এই কারণে এ বাজারে ব্যবসায়ীদের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান।এই বাজারের জায়গা দাম হওয়ার কারণে নদীর পাড়সহ সরকারি অন্যান্য জায়গা দখলের এক প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।এই নিয়ে গণমাধ্যমে বহু রিপোর্ট হয়েছে।
এর আগেও কয়েকবার উপজেলা প্রশাসন এই সরকারি জায়গা উদ্বারের উদ্যোগ নিলেও। মাঠ পর্যায়ে তা বাস্তবায়ন হয়নি। এবারও নদী কমিশনারের নির্দেশনা মতে সরাইল উপজেলা প্রশাসন আবারোও সরকারি নদীর জায়গা উচ্ছেদের নোটিশ প্রেরণ করেন।
সরকারি জায়গা দখল মুক্ত রাখতে।সরকারি জায়গা দখলদাররা প্রশাসনের চিঠি পাওয়ার পরেই তাদের দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়ে যায় বিভিন্ন দপ্তরে। তাদের উকি শুরু হয় বিভিন্ন এলাকার কোট কৌশলী মানুষদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন। এই নিয়ে আবার শুরু হয়েছে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকে বক্তব্য দেওয়া।
অরুয়াইল এলাকার অনেকেই জানিয়েছেন যত কিছু করেন এবার মনে হয় রক্ষা হবে না। নদী কমিশনার এবার হাতঘাট বেঁধে নেমেছে। সরাইল উপজেলার অরুয়াইল বাজারের তিতাস নদীর জায়গা দখল করা প্রভাবশালী কয়েক জনের সাথে কথা হলে তারা বলছেন – আমরা এর আগেও মামলার কথা বলেছি। এখন মামলার কথা বলছি। ইতা কিছু না,আগেও চিঠি কতবার দিছে।
এদিকে অরুয়াইলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মামলা আর বছরে পর বছরএসব উ’চ্ছেদের নামে অতীতে হয়েছে ঘুষ-বাণিজ্য। বিভিন্ন সময় দলের রাজনীতি নেতাদের ক্ষমতা ব্যবহার করে দীর্ঘ দিনের অবৈধ দখলদাররা।স্থানীয় কয়েক জন কর্মকর্তা ও দলিল লিখকদের সহযোগিতা নিয়ে ভূয়া দলিল ও কাগজপত্র ঘুষের মাধ্যমে বানিয়ে করে মামলা।
এলাকায় লুকিয়ে থাকা কিছু রাঘব বোয়ালদের কৌশলে জাল বিছিয়ে এখানকার নদীর জায়গা দখলে রেখে বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তুলেই যাচ্ছেন। মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে দেখা যায়, আর যাইহোক! এবারের চিঠি নিয়ে কিছুটা চিন্তিত দখলদার অনেকেই।
এদিকে অরুয়াইল ইউপি চেয়ারম্যান ও অরূয়াইল বাজার কমিটির সভাপতি মো. মোশাররফ হোসেন ভূইঁয়া দাবী করে আসছেন। অরুয়াইল বাজারে নদীর জায়গাসহ সরকারের ২শো’ত কোটি টাকার সম্পত্তি বে-দখল হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান দীর্ঘ দিন ধরে সরকারের এই সম্পত্তি উদ্ধারের দাবি জানিয়ে আসছেন।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার( ইউএনও)মো. মেজবা উল আলম ভূইঁয়া বলেন, জাতীয় নদী কমিশনের নির্দেশনা ও যারা নদীর জায়গা দখল করেছে তাদেরকে সরকারি জায়গা ছাড়তে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সরকারি জায়গা উদ্ধার করা এ চলমান প্রক্রিয়া।তারা সরকারের উচ্ছেদের চলমান প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে গতকাল মামলা করার হুমকি দিয়েছেন।
ইউএনও বলেন,সরকারি আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। সরকারের এ চলমান প্রক্রিয়া থেকে কোন দখলদার রক্ষা পাবে না।
এ জাতীয় আরো খবর..