রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি: রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধিঃ অনুর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ ফুটবল দলের খেলোয়াড় সাগরিকার পরিবার পেলেন নতুন বাড়ী। সাগরিকা'র পরিবারকে আর অন্যের জায়গায় থাকতে হবে না। সরকারিভাবে তৈরি হবে নতুন দুই রুম বিশিষ্ট একটি বাড়ী।
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে রবিবার (১৭মার্চ) বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মদিনে সাগরিকার বাড়ি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম মুন্না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসান,ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা ও শেফালি বেগম, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বারি, রাঙ্গাটুঙ্গি ইউনাইটেড প্রমিলা ফুটবল একাডেমির পরিচালক সাবেক অধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম, জাতীয় পাটির যুগ্ন আহবায়ক আবু তাহের,প্রেসক্লাব সভাপতি মোবারক আলী,বীরমুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান ও রিয়াজুল ইসলাম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা স্যামিয়েল মার্ডি,প্রেসক্লাব (পুরাতনের) সহ সভাপতি হুমায়ুন কবির, সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক আরথান আলী প্রমুখ।
এদিকে নতুন ঘর উদ্বোধনের পর খুশিতে কেদেঁ দিয়েছেন সাগিরকার বাবা চা বিক্রতা লিটন আলী ও তার মা আনজু আরা বেগম । তারা বলেন,তার মেয়ের কারণেই আজ নতুন বাড়ী পাচ্ছেন তারা।
জানা গেছে, সাগরিকার বাবার চায়ের দোকানের আয়ে চলে তাদের সংসার। অন্যের জমিতে তোলা ছোট্ট সেই জরাজীর্ণ ঘরে কীভাবে বসতে দেবেন, তাই সাগরিকা তার বন্ধুদের বাড়ি আনার আবদারে সায় দিচ্ছেনা তাঁর পরিবার।
রাণীশংকৈল-হরিপুর মহাসড়কে বাশরাইল এলাকা থেকে উত্তর দিক দিয়ে সরু পথ ধরে প্রায় আধা কিলোমিটার যেতে সাগরিকার বাড়ি। বাড়ির প্রবেশপথে ছোট একটি দরজা। বাড়িটি কাশবনের বেড়া দিয়ে ঘেরা। ঘর দুটি করা হয়েছে কাশবন আর বাঁশের বাতার বেড়া দিয়ে। ঘরের ছাউনি হিসেবে রয়েছে ছাপড়া টিন। সাগরিকার বাবা-মা জানান, টাকার অভাবে,থাকার বাড়ী ও স্বাস্থ্যসম্মত টিউবওয়েল ও ল্যাট্রিন নির্মাণ করতে পারছেন না তারা।
এপ্রসঙ্গে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনে বক্তারা বলেন, সাগরিকার জন্য আজ রাঙ্গাটুঙ্গি গ্রাম সারা দেশে পরিচিতি পেয়েছে। সাগরিকা আমাদের অহংকার, আমাদের গর্ব, দেশের সম্পদ। সরকার যদি সাগরিকার পরিবারের পাশে দাঁড়ায়, তাঁদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়ায়, তাহলে সাগরিকার মতো অনেকে ভালো খেলোয়াড় হওয়ার উৎসাহ পাবে।
এ জাতীয় আরো খবর..