নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মন্দিরে চুরিতে বাধা দেওয়ায় বুধবার রাতে চারজনকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ তাৎক্ষণিক তিনজনকে আটক করে। তবে বৃহস্পতিবার বিকেল নাগাদ এ বিষয়ে থানায় কেনো মামলা হয়নি।
মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেছেন, পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি করছে। ঘটনার সঙ্গে মন্দিরের সংশ্লিষ্টতার কথা উল্লেখ করে অভিযোগ দিতে চাইলে এতে বাধ সেধেছে পুলিশ। ছয় দিন ধরে হরিনাম সংকীর্তন চলতে থাকা ওই মন্দিরে পুলিশি পাহারা না থাকারও অভিযোগ আনেন নেতৃবৃন্দ।
উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তারা দ্রুত মামলা নথিভুক্ত করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পৌর এলাকার রাধানগরের শ্রী শ্রী রাধামাধব আখড়ায় হরিনাম সংকীর্তন শুরু হয়েছে। বুধবার রাত ১২টার দিকে তিন যুবক আখড়ায় হওয়া সাজসজ্জার বৈদ্যুতিক বাতি নিয়ে যেতে থাকে। বিষয়টি নজরে এলে আখড়ায় থাকা কয়েকজন ভক্ত বাধা দেন। এক পর্যায়ে চুরি করতে থাকা ওই যুবকরা দৌঁড়ে পালাতে থাকে। আখড়ার ভক্তরাও তাদের পিছু নেয়। এরই মধ্যে ওই যুবকরা ফোন করে লোকজন জড়ো করে। আখড়ার ভক্তরা শান্তিনগর পৌঁছামাত্র তাদের উপর হামলা হয়। হামলায় আপন চৌহান (২৫), বিশাল ঘোষ (২৫), শ্রেষ্ঠ ঘোষ (২২), দুর্জয় শীল (১৪) আহত হন। তাৎক্ষণিকভাবে তারা আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন। রাতেই পুলিশ রাধানগরের শান্ত নামে এক যুবকসহ তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
রাধামাধব আখড়া কমিটির নির্বাহী সভাপতি চন্দন কুমার ঘোষ, সাধূারন সম্পাদক অলক কুমার চক্রবর্তী পুলিশের বিরুদ্ধে একই রকম অভিযোগ আনেন। তারা বলেন, 'আখড়ার উৎসবের ইতিহাসে পুলিশ ছিলো না এমন ঘটনা নেই। বুধবার রাতে পুলিশকে ঘটনা জানানোর পর তারা দ্রুতই জড়িতদের আটক করে। তবে বৃহস্পতিবার সকালে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জানাতে গেলে ওসি যেসব কথা বলেছেন সেটা দুঃখজনক। ওনার কথা ছিলো একটাই মামলায় মন্দিরের বিষয় উল্লেখ করা যাবে না। এতে আমরা আপত্তি করে অভিযোগ না দিয়েই চলে আসি।'
তবে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নূরে আলম বলেন, 'আমি মামলা নিতে না করিনি। আমি বলেছি আহতদের কারো অভিভাবক অভিযোগ দিলে ন্যায় বিচার পাবে।'
এ জাতীয় আরো খবর..