একটি ভিডিও ফুটেজের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করার অভিযোগ করেছেন। ওই ফুটেজে ২৯ জুলাই রাজধানীর আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে সশস্ত্র বিএনপি নেতাকর্মীদের যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করতে দেখা গেছে। এর আগে মির্জা ফখরুল এই সহিংসতার পেছনে বিএনপির যোগসূত্র অস্বীকার করেছিলেন।
একটি মিডিয়া আউটলেটের তদন্তের বরাত দিয়ে ভিডিও ফুটেজটিতে ২৯ জুলাই হামলাকারীদের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আশুলিয়া এলাকায় যানবাহনে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করতে দেখা যায়।
ফুটেজটিতে যুবদলের ঢাকা জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম এবং একই ইউনিটের সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. সুরুজ্জামানসহ বিএনপির সহযোগী সংগঠনের অন্তত দুজন হাই প্রফাইল নেতার উপস্থিতিতে দেখা যায়। ধামরাই ছাত্রদলের সদস্য অপূর্ব চন্দ্র দাসকে হামলায় নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর তদন্তের ভিত্তিতে একটি মিডিয়া আউটলেট ভিডিও ফুটেজটি প্রকাশ করে। এতে বাসের চালক আনোয়ার হোসেনকে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে দেখা গেছে।
তিনি বলেন, ‘আমার একটি বড় ক্ষতি হয়েছে। তবে আমি সেদিন প্রায় মারাই গিয়েছিলাম।’ চালকের দায়ের করা মামলার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং ১০ দিন পর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, লাঠি ও রড নিয়ে সশস্ত্র একদল লোক হঠাৎ করে হাইওয়েতে মিছিল করে রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহনে হামলা চালায়।
এক পর্যায়ে তারা বিকাশ পরিবহনের একটি বাস অবরোধ করে, চালক ও হেলপারকে মারধর করে বাস থেকে টেনে বের করে দেয়। চালক ও হেলপার দুজন পালিয়ে যাওয়ার সময় দলের একজন ব্যাগ থেকে দাহ্য পদার্থ নিয়ে বাসে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়।
এই ভিডিওটির ভিত্তিতে সজীব ওয়াজেদ মঙ্গলবার টুইট করেছেন, মির্জা ফখরুলের মিথ্যাচার মিডিয়া দ্বারা উন্মোচিত হয়ে গেছে। ভিডিও ফুটেজে অগ্নিসংযোগকারীদের বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে দেখা গেছে। এদের ভাঙচুর করতে দেখা গেছে।
আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড পেজের পোস্টে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের একটি ছবি রয়েছে, যিনি একটি বাঁশের লাঠি হাতে নিয়েছিলেন। তিনি সম্ভবত রাজধানীতে সাঁজোয়া পুলিশের গাড়িতে আরেকটি হামলায় অংশ নিয়েছিলেন।
সূত্র : বাসস
এ জাতীয় আরো খবর..