১০ মাস পর রাবেয়া হত্যার মূলরহস্য উদঘাটন হত্যার পর করা হয় জঘন্য ধর্ষণ
মো: সাইফুল ইসলাম, নরসিংদী প্রতিনিধি:
নরসিংদীতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বসত ঘরের সিঁধ কেটে (৫৩) বছর বয়সী রাবেয়া খাতুন রাবিকে হত্যার পর করা হয় ধর্ষণ। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার প্রায় ১০ মাস পর মূল রহস্য উদঘাটন করেছে নরসিংদীর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। হত্যা ও ধর্ষণে জড়িত থাকায় তিন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো, নরসিংদী রায়পুরা উপজেলার আদিয়াবাদ গ্রামের নাসির উদ্দিনের ছেলে সুমন(২০),বাহেরচর পশ্চিমপাড়া গ্রামের বকুল মিয়ার ছেলে জীবন(১৯) ও একই গ্রামের চুন্নু মিয়ার ছেলে স্বপন(৫৫)। ৩০ অক্টোবর বুধবার দুপুরে পিবিআই নরসিংদীর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পিবিআই নরসিংদীর পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত মো: এনায়েত হোসেন মান্নান। নিহত রাবেয়া খাতুন রাবি রায়পুরা উপজেলার বাহেরচর পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত নাজিম উদ্দিনের স্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, উক্ত ঘটনায় রায়পুরা থানার মামলা নং-১৯ তারিখ-২৬/১২/২০২৩ইং পেনাল কোড ৪৫৭/৩০২/৩৪ মামলাটি তদন্তে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর দিবাগত রাত অর্থাৎ ২৫ ডিসেম্বর রাত ১.৩০ মিনিটেপূর্ব শত্রুতার জের ধরে রাবেয়া খাতুনের বসতঘরে সিঁধ কেটে ঢুকে পরিকল্পিভাবে হত্যা করা হয়। হত্যার পর করা হয় জঘন্য ধর্ষণ। দীর্ঘ তদন্ত শেষে হত্যার সঙ্গে জড়িত সুমন, জীবন ও স্বপনকে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে দুইজন হত্যার পূর্ণ ঘটনার বিবরন দিয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এবং আসামী স্বপনের দেখানো মতে উক্ত হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত সিঁধ কাটার শাবল ও ছেনি উদ্ধার করা হয়। ঘটনায় জড়িত পলাতকদের ধরতে পিবিআই অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
পুলিশ সুপার বলেন, অপরাধীদের দমন ও সত্য উৎঘাটনে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বদ্ধ পরিকর। বিজ্ঞান ভিত্তিক অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে সকল অপরাধীদেরকে আইনের আওতায় আনতে আমরা প্রতিশ্রুতি বদ্ধ।
এ জাতীয় আরো খবর..