×
  • প্রকাশিত : ২০২৩-০৮-০৭
  • ৭৪ বার পঠিত
গতকাল কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগ ফাইনালের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বেশ ব্যস্ত সময়ই কেটেছে ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান শেরফান রাদারফোর্ডের। লিটন দাসদের সারে জাগুয়ারসকে ফাইনালের শেষ বলে গিয়ে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রাদারফোর্ডদের মন্ট্রিল টাইগার্স। ফাইনালে ম্যান অব দ্য ম্যাচ, মোমেন্টস অব দ্য ম্যাচের পাশাপাশি টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার ডিন জোনস ম্যান অব দ্য সিরিজ জিতেছেন রাদারফোর্ড। তবে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হয়ে অদ্ভুত এক পুরস্কারই জিতেছেন এ ক্যারিবীয়! আলোচনাও সেটি নিয়েই।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবদন্তি ক্লাইভ লয়েডের কাছ থেকে ম্যান অব দ্য সিরিজের স্মারক ট্রফির পাশাপাশি ডামি চেক নিয়েছেন রাদারফোর্ড। তবে সেই চেকের ভাষাটা আর দশটা চেকের থেকে আলাদা। সাধারণত স্মারক ট্রফির সঙ্গে অর্থ পুরস্কারই দেওয়া হয়, তবে রাদারফোর্ডের ওই চেকে টাকার কোনো অঙ্ক ছিল না। বরং লেখা ছিল—যুক্তরাষ্ট্রে আধা একর জমি! মানে রাদারফোর্ড টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হয়ে সরাসরি জমি পেয়েছেন!

এমনিতে স্মারক ট্রফির সঙ্গে স্পন্সরের দেওয়া বিভিন্ন পুরস্কার পেয়ে থাকেন খেলোয়াড়েরা। বড় কোনো টুর্নামেন্ট জিতলে বা স্মরণীয় কিছু জিতলে বাড়ি-গাড়ি বোনাসও পেয়ে থাকেন হয়তো বোর্ড বা সরকারের পক্ষ থেকে। তবে টুর্নামেন্ট কমিটিই জমি দেবে—এমন ঘটনা একটু বিরলই।

টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়কে এমন পুরস্কার দেওয়া হবে, সেটি অবশ্য টুর্নামেন্ট কমিটি ঘোষণা করেছিল আগেই। ফ্লোরিডাভিত্তিক এমএকিউ গ্রুপ নামের রিয়াল এস্টেট কোম্পানি গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি কানাডার সেরা খেলোয়াড়কে অরলান্ডোর দক্ষিণে, ডিজনি ওয়ার্ল্ডের কাছে আধা একর জমি দেওয়ার ঘোষণা দেয়। লিগটির আয়োজক বোম্বে স্পোর্টস কোম্পানির ডিরেক্টর অশিত প্যাটেল বলেন, ‘আমরা মূল্য বাড়াতে চাই। বিশ্বজুড়ে থাকা ক্রিকেট সমর্থক ও নতুন আসা সমর্থকেরা যাতে উপভোগ করতে পারেন, এমন অসাধারণ পারফরম্যান্স করতে খেলোয়াড়দের উৎসাহিত করতে চাই। আন্তর্জাতিক তারকা ও ঘরোয়া মেধাবি ক্রিকেটাররা যে সেরা মানের ক্রিকেট খেলছে, সেটি কানাডায় এ খেলার প্রচারে কাজ করবে। অন্যদের এগিয়ে আসতে উৎসাহ দেবে, এতে করে আমাদের দেশের খেলার প্রসার ভবিষ্যতে আরও বাড়বে।’

এমএকিউ গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ কুরেশি বলেন, ‘গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি কানাডার সেরা ক্রিকেটারকে এমন মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার দিতে পেরে এমএকিউ গ্রুপ আনন্দিত। উত্তর আমেরিকার পেশাদার ক্রীড়াজগতে এটি সত্যিই অনন্য। আমরা উত্তর আমেরিকায় ক্রিকেটের ইতিবাচক অগ্রগামিতা দেখছি। এই পুরস্কার খেলোয়াড়দের তাদের পারফরম্যান্সের মান বাড়াতে ও আকর্ষণীয় করে তুলতে সহায়তা করবে।’ আর এ টুর্নামেন্টে খেলা ভারতের সাবেক স্পিনার হরভজন সিং বলেছেন, ‘এটা এমন একটা পুরস্কার, যেটি প্রতিটি খেলোয়াড়ই জিততে চাইবে। আমার মনে হয় উত্তর আমেরিকায় ক্রিকেটের মর্যাদা বাড়াবে এটি।’

শেষ পর্যন্ত টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক রাদারফোর্ডকে সেরা খেলোয়াড় হিসেবে বেছে নিয়েছে ধারাভাষ্যকার ও লিগটির টেকনিক্যাল কমিটি। ৮ ইনিংসে ১৩০.১৭ স্ট্রাইক রেটে রাদারফোর্ড করেন ২২০ রান, দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের পর ফাইনালেও রান তাড়ায় গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা ২৪ বছর বয়সী।

ফাইনালে ১৩১ রানের লক্ষ্যে ১৮তম ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১০৬ রান তুলতে পেরেছিল মন্ট্রিল। আন্দ্রে রাসেলের ৬ বলে ২০ রানের টর্নেডো ইনিংসে শেষ বলে গিয়ে জয় পায় তারা, পাঁচে নামা রাদারফোর্ড অপরাজিত থাকেন ২৯ বলে ৩৮ রান করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat