আবুল হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক
পুটাইল ইউনিয়নের লেমুবাড়ি এলাকায় শুধুমাত্র ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, বিএসটিআই এবং জেলা প্রশাসকের লাইসেন্স সহ কোনরকম বৈধতার কাগজ ছাড়াই, মেসার্স এমিকা ব্রিকস ও মেসার্স একতা ব্রিকস পুরোদমে ইটভাটা চালিয়ে কৃষক ও সাধারণ মানুষের সর্বনাশ করে যাচ্ছেন। আইন লঙ্ঘন করে এসব ইটভাটা লোকালয় ও ফসলি জমিতে নির্মাণ করা হলেও প্রশাসন রয়েছে নীরব। ইট পোড়ানো শুরু হওয়ায় পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী জমির ফসলেরও ক্ষতি হচ্ছে বলে জানা যায় ।
অভিযোগ রয়েছে, প্রতিবছর হাতেগোনা দুই-একটি ঢিলেডালা অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা করা হলেও স্থায়ীভাবে বন্ধ বা উচ্ছেদ করা হয় না এসব অবৈধ ইট ভাটা। এ ছাড়া, ভাটার মালিকরা পার্শ্ববর্তী ফসলি জমির ক্ষয়ক্ষতি করলে সে বিষয়ে স্থানীয়রা অভিযোগ দিলেও রাজনৈতিক প্রভাবে সেগুলো ধামাচাপাই থেকে যায়।
স্থানীয় কৃষকরা বলেন, মাঝেমধ্যে ভাটার ধোঁয়ায় প্রচুর দুর্গন্ধ হয়। তখন ক্ষেতে কাজ করতে গেলে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। ভাটার কারণে ধানের ফলন কম হয়। অনেক সময় জমির ধান পুড়ে যায়। এতে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কোন প্রতিকার পায়না
।এ ব্যাপারে
ইট ভাটার মালিকদের নিকট জানতে চাইলে, তারা বলেন কাগজপত্র ছাড়াইতো আমাদের ইটভাটা চলছে।
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউ এন ও) বলেন, এই অবৈধ ইট ভাটার বিরুদ্ধে খুব শীঘ্রই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. ইউসুফ আলী বলেন,শুনেছি দুই ইট ভাটার হাইকোর্টে রিট করা আছে, তার পর ও তদন্ত করে জেলা প্রশাসন এবং উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় শিগগিরই মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হবে।
এ জাতীয় আরো খবর..