জবি প্রতিনিধি:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের আবাসন সমস্যার সমাধানে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন ৭০০ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থাপনা শুরু করেছে।
আজ, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং দেশের একটি অন্যতম খ্যাতনামা দাতব্য প্রতিষ্ঠান আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন এবং মানসম্মত আবাসনের সুবিধা লাভ করবে। স্মারকটি স্বাক্ষর করেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. শেখ গিয়াস উদ্দিন এবং আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের জেনারেল সেক্রেটারি মোঃ সাব্বির আহমেদ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোঃ রেজাউল করিম, পিএইচডি, এবং আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ।
চুক্তির আওতায় কেরাণীগঞ্জের বসুন্ধরা রিভারভিউ প্রজেক্ট এলাকায় আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন প্রাথমিকভাবে ৭০০ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা করবে। ভবিষ্যতে এই সংখ্যা ৫,০০০ শিক্ষার্থী পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হবে। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্যও আবাসনের ব্যবস্থা থাকবে।
শায়খ আহমাদুল্লাহ মন্তব্য করেন, “আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আবাসন সমস্যা সমাধানে আমরা ভূমিকা রাখতে পারছি। এখানে ধর্ম, বর্ণ কিংবা লিঙ্গ নির্বিশেষে সকল শিক্ষার্থীকে সমান সুযোগ দেওয়া হবে, এবং মুসলিমদের পাশাপাশি অন্য ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরাও তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করতে পারবে।”
এই প্রকল্প ২০২৫ সালের এপ্রিল থেকে কার্যক্রম শুরু হবে। আবাসন সুবিধা ছাড়াও, শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও নৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণও প্রদান করা হবে। প্রকল্পের আওতায় থাকবে:
১০০ কম্পিউটারের আধুনিক ল্যাব IELTS প্রস্তুতি কোর্স সফট স্কিল, নেতৃত্ব ও পেশাগত দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোঃ রেজাউল করিম, পিএইচডি বলেন, “গত ১২ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আমরা দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি। আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে এই চুক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বিষয়ক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন এই উদ্যোগকে প্রশংসা করে বলেন, “এই প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শুধু আবাসন সমস্যার সমাধান পাবে না, বরং দক্ষ ও আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে।”
সমঝোতা স্মারকের আওতায় একটি পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পরামর্শক বোর্ড গঠন করা হবে, যা প্রকল্প পরিচালনা এবং যেকোনো সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখবে।
উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এ জাতীয় আরো খবর..