স্বাধীন বাংলা, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:
চুয়াডাঙ্গায় করোনা পরিস্থিতি আগের তুলনায় অনেকটা উন্নতি হয়েছে। ইতোমধ্যে কমেছে রোগীর সংখ্যা। প্রতিবেদন অনুযায়ী জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিলো চার জন। তবে জেলায় আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে নতুন করে পাঁচ জন সুস্থ হয়েছেন। এছাড়া জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ করোনা পরীক্ষার জন্য ২৬টি নমুনা সংগ্রহ করে। এ পর্যন্ত জেলায় মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা এক হাজার ৪৩৪ জন ও সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৩১৩ জন।
করোনায় আক্রান্ত রোগী শরিফুল ইসলাম স্বপন জানান, তিনি ও তার স্ত্রী দু’জনেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। তিনি চুয়াডাঙ্গার চিকিৎসক ও নার্সদের চিকিৎসার বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, তারা যথেষ্ট ভালো আচরণ এবং সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের মাধ্যমেই আমাদের সুস্থ করে তুলেছেন। রোগীদের সঙ্গে আসা আত্মীয় দামুড়হুদা উপজেলার আল আমিন টিটু স্বাধীন বাংলা কে বলেন আমাদের রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় চিকিৎসক এবং নার্সরা যথেষ্ট ভালো সেবা দিয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন মারুফ হাসান জানান, গুরুতর রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে হাসপাতাল টিম এবং চুয়াডাঙ্গায় পর্যাপ্ত পরিমাণে পিপিই রয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা থেকে এ পর্যন্ত মোট নমুনা সংগ্রহ হয়েছে পাঁচ হাজার ৭৯৮টি, প্রাপ্ত ফলাফল পাঁচ হাজার ৬৪০টি, পজিটিভ এক হাজার ৪৩৪টি, নেগেটিভ চার হাজার ২০৮টি। করোনায় এ জেলায় মৃত্যুবরণ করেছে ৩৩ জন। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, জেলায় আগের তুলনায় করোনা রোগীর সংখ্যা কমে গেছে এবং সাধারণ জনগণ তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে শুরু করেছেন। কিন্তু আগামীতে করোনার দ্বিতীয় প্রভাব বিস্তার রোধে বেশ কিছু কর্মপরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। এ জেলায় সাধারণ মানুষের মাঝে মাস্ক ব্যবহারে অনীহা হওয়ায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের পাশাপাশি জেলার সব বাজার কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে ‘নো মাস্ক-নো শপিং’ চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
এছাড়া জেলার প্রতিটি মসজিদে মাস্কের ব্যবহার ও সুফল এবং করোনা মোকাবেলায় করণীয় বিষয়ে ব্যানার টাঙিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম চলমান রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, করোনাকালে যে ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছিলো, তা আপাতত বন্ধ রয়েছে। স্বাভাবিক আপদ কালীন আর্থিক সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। জেলার হতদরিদ্র জনগোষ্ঠিকে এখনও আর্থিক সহায়তাসহ বিভিন্ন খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।