তিতাস প্রতিনিধি: বাবার স্বপ্ন পূরণে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করলেন সৌদি আরব প্রবাসী মো.ওমর ফারুক। তিনি কুমিল্লা তিতাস উপজেলার সাতানী ইউনিয়নের মো.শাহাদাত হোসেনের ছেলে ওমর ফারুক ।
রবিবার(৩ মার্চ) একই উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের উত্তর শ্রী নারায়ণকান্দি গ্রামের মোঃ মুসলিম মুন্সির মেয়ে খাদিজা আক্তার সাথে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন বর সৌদি প্রবাসী ওমর ফারুক।
জানা গেছে,উপজেলার সাতানী ইউনিয়নের দ্বিতীয় সাতানী গ্রামের ফসলি জমির সবুজ সমারোহের মাঝে তৈরি হেলিপ্যাড থেকে দুপুর দেড়টার দিকে হেলিকপ্টারে চড়ে মাত্র পাঁচ মিনিটে নববধুর বাড়ির পাশের একটি ফসলি জমির খোলা মাঠে অবতরণ করেন বর। পরে নববধূর বাড়িতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে সন্ধ্যায় নববধূকে নিয়ে আবার হেলিকপ্টারে চড়ে নিজ গ্রামে ওই মাঠেই অবতরণ করেন বর ওমর ফারুক। নববধূ ও হেলিকপ্টারকে দেখতে উৎসুক মানুষের ভিড় জমে। আর এসব সামাল দিতে পুলিশকে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়।
স্থানীয়রা জানান,ঘোড়ার গাড়ি গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ছিল। সময়ের পরিবর্তনে ঘোড়ার গাড়ি বিলুপ্তির পথে। দীর্ঘদিন পর হেলিকপ্টার চড়ে বরকে বিয়ে করতে যেতে দেখলাম।
বর ওমর ফারুক বলেন, আমি পরিবারের মেজো ছেলে। বাবার দীর্ঘদিনের ইচ্ছে ছিল হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে যাব। বাবার শখ পূরণ করতেই হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করি। এতে এলাকাবাসীও খুব খুশি হয়েছেন।
নববধূর বাবা মুসলিম মুন্সি বলেন, হেলিকপ্টার চড়ে আমার মেয়ে শ্বশুর বাড়িতে গেছে। এটা খুবই আনন্দের বিষয়। দোয়া করি, তাদের দাম্পত্য জীবন সুখের হউক।
বরের বাবা মো.শাহাদাত হোসেন বলেন, আমার শখ ছিল,ছেলের বউকে হেলিকপ্টারে চড়িয়ে বাড়িতে আনব। সেই শখ পূরণ করতেই হেলিকপ্টার ভাড়া করেছি। এই জন্যই ব্যতিক্রমী এ আয়োজন। আমি আল্লাহর কাছে লক্ষকোটি শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।
এ জাতীয় আরো খবর..