যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে জাপানের টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস। জাপানে বসবাসরত বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশিসহ দূতাবাসের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী দিবসের কর্মসূচিতে যোগদান করেন।
সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মধ্য দিয়ে শোক দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। জাতীয় সংগীত পরিবেশনের সঙ্গে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ।
এ সময় বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সব শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস ২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ। পরে আগত অতিথি, জাপানপ্রবাসী বাংলাদেশি এবং জাপান আওয়ামী লীগ এবং এর বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবার এবং ১৯৭৫-এর সব শহীদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করা হয়।
রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ তাঁর বক্তব্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে বলেন, তিনি ছিলেন বাঙালি জাতির মুক্তির স্বপ্নদ্রষ্টা ও স্বাধীনতার রূপকার। এ অবিসংবাদিত মহাপুরুষের দূরদর্শী, অকুতোভয় ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সমগ্র বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল মহান স্বাধীনতাসংগ্রামে ও মুক্তিযুদ্ধে। তাঁর নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি স্বাধীন দেশ এবং বিশ্বের দরবারে স্বাধীন বাঙালি জাতির মর্যাদা।
বাংলাদেশি হিসেবে আজ আমাদের যে গর্বিত অস্তিত্ব ও বিশ্বপরিমণ্ডলে আমাদের উজ্জ্বল পরিচিতি এ মহান নেতার অবদানের ফসল।
তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরপরই দূরদর্শী পররাষ্ট্রনীতির মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রধান প্রধান আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের সদস্যপদ এবং জাপানসহ বিশ্বের শতাধিক দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। বঙ্গবন্ধু ১৯৭২-এ টোকিও দূতাবাস প্রতিষ্ঠা করেন এবং ১৯৭৩ সালে জাপানে সরকারি সফর করেন, যার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে গভীর বন্ধুত্বের সূচনা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে, তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। ২৫-২৮ এপ্রিল ২০২৩ সময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফল জাপান সফরের ফলে দুই দেশেরে মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ‘কৌশলগত অংশীদারি (Strategic Partnership)’ পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে।
এ জাতীয় আরো খবর..