রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর ভাঙ্গা প্রেস এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা থেকে ছিটকে পড়ে অজ্ঞাত গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে নাজমা বেগম (৪৬) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার (৫ আগস্ট) ভোর ৫টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নাজমার বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায়। তার স্বামীর নাম ইউনুস মিয়া।
নিহত নাজমার ছেলে আব্দুল মমিন জানান, ৭ থেকে ৮ বছর ধরে ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত তার মা। নিয়মিত ঢাকায় এসে চিকিৎসা নিতেন। ৪ মাস আগে সবশেষ চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে গেছেন। শুক্রবার (৪ আগস্ট) বিকেলে তাকে সঙ্গে নিয়ে লঞ্চে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।
মমিন বলেন, ভোরে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে নেমে সেখান থেকে ব্যাটারিচালিত একটি রিকশায় করে শনির আখরায় এক আত্মীয়ের বাসায় যাচ্ছিলেন। পথে ভাঙ্গা প্রেস লাল মসজিদের সামনে ম্যানহোলের ঢাকনার সঙ্গে রিকশার ধাক্কা লাগে। এতে রিকশা থেকে ছিটকে পড়লে পেছন থেকে একটি বড় গাড়ির চাকায় পিষ্ট হন তার মা। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
গাড়িটি দেখে ময়লার গাড়ি মনে হয়েছে।
যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মফিজুল আলম জানান, ভাঙ্গা প্রেস এলাকায় একটি গাড়ির চাপায় ওই নারী নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে গাড়িটি শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ময়লার গাড়িতে কেউ হতাহত হয়নি : ডিএসসিসি
ঘটনার পর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন জানিয়েছে, কিছু গণমাধ্যমে করপোরেশনের ময়লার গাড়ির চাপায় জনৈক এক নারী নিহত হয়েছে বলে অনুমাননির্ভর সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে। ডিএসসিসি এ প্রেক্ষিতে জানাচ্ছে, ডিএসসিসির বর্জ্যবাহী কোনো গাড়িতে আজ ভোরে কেউ নিহত বা আহত হয়নি।
গাড়ি চাপায় কেউ মারা গেলেই তা যাচাই-বাছাই না করেই করপোরেশনের ওপর দায় চাপানো দায়িত্বশীল আচরণ হতে পারে না। কেউ কোনো গাড়ি হতে রাস্তায় ছিটকে পড়লে সাথে সাথেই তার শরীরের ওপর দিয়ে চালিয়ে যাওয়া গাড়ি করপোরেশনের বর্জ্যবাহী গাড়ি হবে, এটি ব্যক্তি বিশেষের ধারণাগত সিদ্ধান্ত হতে পারে। করপোরেশনের বর্জ্যবাহী গাড়িগুলো অনেক ভারি হয় এবং সেসব গাড়ি দ্রতগামী নয় বিধায় ব্যক্তি বিশেষের সে ধারণা সঠিক নয়।
এ জাতীয় আরো খবর..