মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কের জন্য গাড়ির ধরনের ওপর নির্ভর করে চলাচলের সর্বোচ্চ গতিসীমা নির্দিষ্ট করার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। নতুন প্রস্তাবে, বাজার-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ জনসমাগস্থলে গাড়ির গতি ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটারে সীমিত রাখতে বলা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবটি অনুমোদনের পরপরই তা গেজেট আকারে প্রকাশ এবং কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুর্ঘটনা রিসার্চ ইনস্টিটিউট বলছে, দেশে ৯০ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ী চালকের বেপরোয়া মনোভাব ও অতিরিক্ত গতি। এমন প্রেক্ষাপটে দেশের সব সড়কে গাড়ির প্রকারভেদে সর্বোচ্চ গতিসীমা নির্ধারণের উদ্যোগ নিয়েছে বিআরটিএ।
এর আগে, ২০১৫ সালে শুধু মহাসড়কে যানবাহনের সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার নির্ধারণ করে দিয়েছিল জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিল। এবারও তা-ই থাকছে। বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার জানিয়েছেন, তবে সড়কের পাশে যেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিংবা অফিস ও বাজার রয়েছে সেখানে গাড়ির গতি অনেকটা কমাতে হবে। পাশাপাশি আঞ্চলিক সড়কগুলোতেও গতিসীমা থাকবে আলাদা।
বিআরটিএর এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন নিরাপদ সড়ক সংগঠনটির চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন।
তবে বুয়েটের যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলছেন, গতিনিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি প্রশিক্ষিত করতে হবে চালকদের। না হলে নতুন প্রস্তাবের সুফল মিলবে না।
এ ছাড়া সড়কগুলোতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সাইন ও সিগন্যাল পোল বসানো হবে। তাতে কোন গাড়ি, কত গতিতে চলবে তা লেখা থাকবে।
এ জাতীয় আরো খবর..