রাশিমুল হক রিমন
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
গ্রাম বাংলার চির ঐতিহ্যের নিদর্শন গ্রামীণ হাট বাজার। শনিবার (৪ জানুয়ারি) আমতলী পৌরসভা এবং আমতলী উপজেলার চুনাখালী বাজারসহ বেশকটি বাজার ঘুরে দেখা যায় শীতকালীন শাক-সবজিতে ভরপুর হাট-বাজারগুলো
পৌষের শেষদিকে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপজেলার বাজারগুলোতে বাড়ছে শীতকালীন শাক-সবজির সরবরাহ। দোকানিরাও এর পসরা সাজিয়ে বসছেন। এতে দাম কমতে শুরু করেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
চুনাখালী হাটের সবজি বিক্রেতা রুবেল বলেন, সরবরাহ বাড়ায় সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ১০-১৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে কোনো কোনো শাক-সবজির দাম। সরবরাহ বাড়লে দাম আরও কমবে।
বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৩৫-৪০ টাকা, করলা ৩৫ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, মুলা ১৫ টাকা, আর প্রতি কেজি পেঁপে ২০ টাকা, গাজর ৩৫-৪০ টাকা, ক্ষিরাই ২৫ টাকা, কাঁচা টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা, দেশি পাকা টমেটো ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, শিম ১৫ টাকা, শালগম ১৫ টাকা ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকায়।
এছাড়া, প্রতি কেজি ধনেপাতা ৪০ টাকা, পেঁয়াজের কলি ২০ টাকা, পাতাসহ পেঁয়াজ ৩০, নতুন আলু ৪৫ টাকা ও পুরাতন আলু বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়। আর মানভেদে প্রতি পিস ফুলকপি ১৫-২০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকা, এবং লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা।
দাম কমেছে কাঁচা মরিচেরও। খুচরা পর্যায়ে এটি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকায়। এছাড়া, বাজারে লালশাকের আঁটি ১০ টাকা, পুঁইশাক ১৫-২০ টাকা, লাউশাক ২৫ টাকা।
সবজির দাম কমতে শুরু করায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে ভোক্তাদের মধ্যে। তারা জানান, শাক-সবজির দাম কমায় স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে।গুলিশাখালী ইউনিয়নের রফিক নামে এক ক্রেতা বলেন, বাজারে সবজির দাম অনেকটাই হাতের নাগালে চলে এসেছে। সবসময় বাজার এরকম থাকলেও কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যেত।
এ জাতীয় আরো খবর..