রাজিব তালুকদার,বরিশাল প্রতিনিধিঃ
আজ
মধ্যরাত থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ইলিশ শিকার। র্দীঘ
২২ দিন বন্ধ থাকার পর
জেলেরা ব্যস্ত শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে।
চলছে নৌকা মেরামতসহ জাল বোনার কাজ।
কড়া নজরদারির ফলে এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ইলিশ পাওয়ার আশা মৎস্য অধিদপ্তরের।
প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় লক্ষ্মীপুরের রামগতির আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনাল এলাকার ১শ কিলোমিটার পর্যন্ত মেঘনা নদীর ইলিশের অভয়াশ্রম এলাকায় ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ। নিষেধাজ্ঞার শুরু থেকেই এবার কঠোর অবস্থানে ছিলো প্রশাসন। ফলে আশানুরুপ ইলিশ ধরা পড়বে জেলেদের জালে আশা মৎস্য কর্মকর্তাদের।
আরো পড়ুনঃ ক্যালিফোর্নিয়ায় বাইডেনের জয়***
ইলিশ ঘাতকদের হাত থেকে মা ইলিশ রক্ষা করতে বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় এ পর্যন্ত এক হাজারের বেশি ভ্রাম্যমান আদালতের মাধম্যে প্রায় আড়াই হাজার অভিযান পরিচালনা করে।
এ সময় অন্তত ১০ টন ইলিশ, ৮০ লক্ষ টন কারেন্ট জাল জব্ধ করেছে।
এ সময় দায়ের করা হয়েছে ১২শ মামলা, জরিমানা করা হয়েছে ১৮ লক্ষ টাকা।
২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশে ৫ লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ আহরণ হয়।
এ বছর তা আরো বাড়বে বলে ধারণা মৎস্য বিভাগের। বুধবার মধ্যরাত থেকে মাছ শিকার শুরুর বিশেষ এলাকা হচ্ছে বরিশালের কীর্তনখোলা, আড়িয়াল খা, মাসকাটা, কালাবদর, গজারিয়া, নয়াভাঙ্গুলি ও মেঘনা এই ৭টি নদীর ৮২ কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকায় নিয়ে ঘোষিত ইলিশের নতুন অভয়াশ্রম, চাদপুর জেলার ষাটনল থেকে লক্ষিপুর জেলার চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত মেঘনা নদীর একাংশের ১০০ কিলোমিটার এলাকা, ভোলার চর ইলিশা থেকে চর পিয়াল পর্যন্ত মেঘনা নদীর অপর অংশের ৯০ কিলোমিটার, ভেলার চর ভেদুরিয়া থেকে পটুয়াখালীর চর রুস্তম পর্যন্ত তেতুলিয়া নদীর ১০০ কিলোমিটার ও শরিয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ থেকে চাদপুর জেলার মতলব পর্যন্ত পদ্মা নদীর ২০ কিলোমিটার এলাকাসহ আশে পাশের সব নদী।