×
সদ্য প্রাপ্ত:
অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে ইআইবি ভাইস প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ সঞ্চয়পত্রে বাড়ছে মুনাফার হার দাবানল ছড়িয়ে পড়ায় বাইডেনের ইতালি সফর বাতিল: হোয়াইট হাউস লন্ডনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসক সম্পর্কে যা জানা গেল একনেক সভায় ৪ হাজার ২৪৬ কোটি টাকার ১০টি প্রকল্প অনুমোদন লালমনিরহাটে ঘোড়া দিয়ে চলছে হাল চাষ লাখো মানুষের ভালবাসা ও শ্রদ্ধায় চিরনিন্দ্রায় সমাহিত শায়খুল হাদীস আল্লামা মুকাদ্দাস আলী ফেনীতে জুয়া'র টাকার জন্য শিক্ষার্থীর হাতে গৃহকর্মী খুনঃ গ্রেপ্তার আসামি গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে ৩০০ কম্বল পেলেন শীতার্ত মানুষ কয়রায় মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের তৎপরতা, বিশেষ অভিযানে গাঁজা ও ইয়াবাসহ ৪ জন আটক
  • প্রকাশিত : ২০২৪-১২-১৯
  • ২৮ বার পঠিত
নুরুল কবির, সাতকানিয়া প্রতিনিধি চট্টগ্রাম 
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় শীতের আগমনে খেজুরের রস সংগ্রহ করার জন্য খেজুর গাছ কাটতে শুরু করেছে চাষীরা। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রায় এই চিত্র লক্ষ করা গেছে। খেজুরের রস দিয়ে নানান রকম পিঠা তৈরি করা হয়। খেজুর গাছ ৫-৬ বছরের হলেই গাছ থেকে রস সংগ্রহ শুরু করা যায়। তবে যত শীত বেশি পড়ে তত রস বেশি হয়।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার কয়েকটা ইউনিয়নে সরেজমিনে ঘুরে হাতেগোনা কয়েকটা খেজুর গাছ দেখা যায়। এসময় কয়েটা খেজুর গাছ কাটতে দেখা গেছে। তবে আগের তুলনায় বর্তমানে খেজুর গাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় এই ঐতিহ্য দিন দিন হারিয়ে যেতে বসেছে। তারপরও গাছিরা এই সময়টার জন্য অপেক্ষা করেন। শীত আসলেই খেজুর গাছ খুঁজে বেড়ান। তারপর গাছ কেটে পুরো মৌসুমে খেজুরের রস সংগ্রহ করেন। এক সময় গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে, রাস্তার পাশে তাল ও খেজুরের গাছ ছিলো। বর্তমানে খেজুর গাছের সংখ্যা অনেকটাই কমে গেছে। তাই আগের মত তেমন রস সংগ্রহ করতে পারেন না গাছিরা।
সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের দুর্লভের পাড়ার গাছি খায়ের আহমদ জানান, খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করতে প্রথমে খেজুর গাছের মাথার অংশকে ভালো করে পরিষ্কার করতে হয়। এরপর সাদা অংশ কেটে বিশেষ কায়দায় ছোট-বড় কলসিতে রস সংগ্রহ করা হয়। খেজুর গাছে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়েই আমরা কোমরে রশি (দড়ি) বেঁধে গাছে ঝুলে রস সংগ্রহের কাজ করি। প্রতিদিন বিকালে ছোট-বড় কলসি গাছে বাঁধি, সকালে রস সংগ্রহ করি। সংগৃহিত কাঁচা রস সকালে বাড়িতেই বিক্রি হয়ে যায়।
ছদাহা ইউনিয়নের কাজির পাড়ার গাছি কামাল হোসেন বলেন, বাড়তি জনসংখ্যার কারণে মানুষ এখন গাছ কেটে বসত বাড়ি তৈরি করছে। যে হারে খেজুর গাছ হারিয়ে যেতে বসেছে, তাতে এক সময় হয়তো আমাদের এলাকায় খেজুর গাছ থাকবে না।
সাতকানিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, আগে পতিত জমি ছিলো। সেখানে অবহেলা অযতেœ খেজুর গাছ জন্মাত। গ্রামীণ রাস্তার পাশেও সারিবদ্ধভাবে খেজুরগাছ দেখা যেত। সেসব গাছ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতো। ওই খেজুর গাছ থেকে বাংলার নবান্ন উৎসবের জন্য গাছিরা খেজুর রস আহরণ করতো। মানুষের মধ্যে অসচেতনতার কারণে মানুষ গাছ কাটলেও গাছ আর লাগায় না। অন্তত পরিবেশের ভারাসাম্য রক্ষায় প্রতিটি সড়কের পাশে ও খালি জায়গায় খেজুরগাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগানো উচিত

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat