শফিউল করিম সবুজ, চকরিয়া প্রতিনিধি:
শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড ঠিক ততরুপ আপনার সন্তান যদি শিক্ষকের কাছে সু শিক্ষা পাই তাহলে আপনার সন্তান জাতির কাছে মাথা উচু করে দাড়াতে পারবে- কিন্ত বর্তমান সমাজে তার উল্টো বিপরীত।বর্তমান বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নেমেছে বিধ্বংসী ধস আগেকার সময়ে শিক্ষকরা ছাত্রের কাছে ছিল মাথার মুকুট কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে ছাত্র কিংবা অভিভাবকদের কাছে নানানভাবে হেনস্তা কিংবা মারধরের শিকার হচ্ছে শিক্ষকরা।
ঠিক একইভাবে ৭ সেপ্টেম্বর শনিবার কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার পৌরসভাস্থ ৩নং ওয়ার্ড শিকদার পাড়া মাদ্রাসাতুস সাহাবাহ্ নামে এক সুনামধন্য প্রতিষ্ঠানের কিতাব বিভাগের শিক্ষককে করুচিপূর্ণ মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মারধর করলেন নাজারা বিভাগের ছাত্র আব্দুল্লাহ(১০) এর পিতা রমিজ উদ্দিন তিনি একই এলাকার পূর্ববাটাখালী খন্দকার পাড়ার মৃত বদরুজ্জামার পূত্র।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ্য মোহাম্মদ মনসুর আলম জানান আব্দুল্লাহ্(১০) নামে নাজারা বিভাগের একছাত্র সঠিকভাবে ছবক দিতে না পারায় তাকে কয়েকটি বেত্রাঘাত করা হয়।কিন্তু পিঠে বেত্রাঘাতগুলি দৃশ্যমান হলে এদিন আব্দুল্লাহর পিতা মোহাম্মদ রমিজ উদ্দিন মাদ্রাসা কক্ষে প্রবেশ করে শিক্ষকদেরকে অসৌজন্যমূলক আচরণ এবং গালিগালাজ করে এক পর্যায়ে শিক্ষকদের গায়ে হাত তুলেন তিনি এসময় ছেলেকে বলৎকারের অভিযোগে বিভিন্নভাবে ফাসানোর কথা উল্লেখ্য করে ভীতিপ্রদর্শন করে রমিজ উদ্দিন। এরপর হিংসাত্মক হয়ে গণমাধ্যমে শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানানভাবে অপপ্রচার চালানো হয় এসময় ছাত্র আব্দুল্লাহ্কে বলাৎকার বিষয়টি উল্লেখ্য করে অনেকে পোষ্ট করলে তৈরি হয় মিশ্রপ্রতিক্রিয়া।
এবিষয়ে ভিকটিম শিক্ষক মাওলানা আব্দুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে জবাবে তিনি বলেন আমার ছাত্র মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্(১০) ছবক না পারায় আমি তাকে কয়েকটি বেত্রাঘাত করি কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার পিতা রমিজ উদ্দিন হিংসাত্মক হয়ে তিলকে তাল বানানোর অপচেষ্টা করছে।আমার বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে নানাভাবে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে মাদ্রাসার মানক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছে। তাছাড়া অভিযোগুলো সম্পুর্ন বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন।
মাদ্রাসা পরিচালক মোহাম্মদ মনসুর আলম জানান আমার প্রতিষ্ঠানের গঠনতন্ত্র ও সঠিক নির্দেশনায় মাদ্রাসা পরিচালনা হয় প্রতিষ্ঠানের কোন শিক্ষক যদি কোন ছাত্রের উপর ভুলবসত অন্যায় করে থাকে তাহলে আমাকে অবগত করার প্রয়োজন ছিল রমিজ উদ্দিন কোন অভিযোগ ছাড়া স্বয়ন মাদ্রাসা কক্ষে এসে আমার শিক্ষকদের উপর অতর্কিত হামলা করে ও বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়। তিনি আরো বলেন মাদ্রাসাতুস সাহাবাহ্ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অল্পসময়ে অভিবাকদের কাছে জনপ্রিয়তা পাওয়ায় একটি পক্ষ আমাদের পেছনে লেগেছে।
এবিষয়ে নাজারা বিভাগের উপস্থিত কয়েকজন ছাত্র জানান মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্ ছবক না পারায় তাকে হুজুর বেত্রাঘাত করলে পরে তার পিতা রমিজ উদ্দিন মাদ্রাসা কক্ষে প্রবেশ করে শিক্ষকদের উপর অতর্কিত হামলা করে এবং বিভিন্নভাবে গালিগালাজ করে এক পর্যায়ে অধ্যক্ষ্য মনসুরের গায়ে হাত তুলার চেষ্টা করে। এমন ন্যাক্কারজনক অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে অত্র মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক রবিবার বিকাল ৩টায় সংবাদ সম্মেলন করে বলেন সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিষ্ঠানের মানহানিসহ শিক্ষকদের উপর অতর্কিত হামলা এবং কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এ জাতীয় আরো খবর..