ফেনী প্রতিনিধি: ফেনী সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কার্যকর প্রতিদন্দ্বি না থাকলেও ব্যাপক অনিয়ম এবং জাল ভোটের ছড়াছড়ির মাধ্যমে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে।বুধবার নির্বাচনে জাল ভোট দেওয়ায় সহকারি প্রিসাইডিং কর্মকর্তা প্রত্যাহর ও পোলিং কর্মকর্তাসহ ১০ জনকে আটক করা হয়েছে।
প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও ছনুয়া উচ্চ বিদ্যলায়ের প্রধান শিক্ষক উজ্জল চন্দ্র দাস জানান, জালভোট দেওয়ায় সহকারি প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহআলম ও পোলিং কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন মানিককে আটক করেন জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট। এসময় মোটর সাইকেল প্রতীকের পোলিং এজেন্ট মানিককে পুলিশে সোপর্দ ও শাহআলমকে নির্বাচনী কার্যক্রম থেকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
অপরদিকে জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে ফেনী সদরে ৮ জন ও দাগনভূঞায় ১জনসহ ৯ জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
ভোট শুরুর পর ফেনী সদরের কয়েকটি কেন্দ্র ও দাগনভূঞার বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে এদের আটক করা হয়।
পুলিশ জানায়, জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে ফেনী শহরের সরকারি বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৬ জনকে আটক করা হয়েছে।
অপরদিকে ফেনী পিটিআই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, কেন্দ্রে জালভোট দিতে গিয়ে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের হাতে ধরা পড়ে ২ জন। এছাড়া দাগনভূঞা উপজেলার পূর্ব চন্দ্রপুর মডেল ইউনিয়নের গজারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট প্রদানের সময় মারুফ হোসেন (১৮) নামে এক যুবককে আটক করে।
ফেনী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, জাল ভোট ও বিশৃঙ্খলার অভিযোগে তাদেরকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়।
সূত্র জানায়, ফেনী সদর উপজেলার ১৪০ কেন্দ্রের ১ হাজার ৬৫টি বুথে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ১৫ হাজার ৯৯৪ জন।সদরে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল (দোয়াত কলম) ও এডভোকেট মনজুর আলম (মোটর সাইকেল), ভাইস চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শহীদ খোন্দকার (টিউবওয়েল) ও গোলাম কিবরিয়া (উড়োজাহাজ), মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মুর্শিদা আক্তার (কলস) ও আঞ্জুমান আক্তার (প্রজাপতি) ভোটের মাঠে লড়েছেন।
এ জাতীয় আরো খবর..