মহেশখালী প্রতিনিধি: দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর সোনাদিয়ায় লবণ মাঠ দখল কে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত ও আরও অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।
২ মার্চ (শনিবার) মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের সোনাদিয়ায় সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০টায় এই ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।
নিহত ব্যক্তির নাম সাইফুল ইসলাম, সে বড় মহেশখালী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড মুন্সির ডেইল গ্রামের মৃত গোলাম কুদ্দুসের ছেলে।
ঘটনার বিবরণে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বড় মহেশখালীর জনৈক আনোয়ার ও জাহাঙ্গীর গ্রুপের মধ্যে সোনাদিয়ার লবণ মাঠ দখল নিয়ে দ্বন্ধ চলে আসছিল।
দ্বন্ধের সূত্র নিয়ে শনিবার সকালে উভয় পক্ষের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মাঝে গুলাগুলি ও দা কিরিচ নিয়ে সংঘর্ষ লেগে গেলে সাইফুল ইসলাম সহ আরও দুজন গুরুতর আহত হয়।
আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম কে মৃত ঘোষণা করে। নিহত সাইফুল জাহাঙ্গীর গ্রুপের, তার পরিবারের দাবি সে বর্গা চাষী ছিলো।
এসময় রাকিব নামের একজনকে অস্ত্রসহ আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা।
ঘটনার বিষয়ে মোস্তফা আনোয়ারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি বর্ষা মৌসুমে মাছ চাষ করার জন্য ফকিরাঘোনার শাহ আলমের মাধ্যমে সোনাদিয়ার আজিম গ্রুপ হতে লাগিয়ত নিই। বর্তমান লবণ চাষের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নাই।
জাহাঙ্গীরের সাথে কথা বললে তিনি জানান, উক্ত চিংড়ি ঘেরটি আমার রেজিস্টার্ড ভুক্ত পৈতৃক সম্পত্তি। সোনাদিয়ার আজিম গ্রুপ সমস্যা করতো তাই কিছু অংশ তাদের ভোগ করতে দিই। তারা লোভের বশবর্তী হয়ে শাহ আলমের মাধ্যমে মোস্তফা আনোয়ারকে লাগিয়ত করে।
তারা প্রতিনিয়ত আমার লবণ চাষিদের হুমকি ধমকি ও মারধোর করে আসছিলো। যাহা ইতোপূর্বে মহেশখালী থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
আজিম গ্রুপ মোস্তফা গ্রুপকে দখল বুঝিয়ে দিতে গিয়ে চাষীদের এলোপাতাড়ি মারধোর ও কুপিয়ে আমার বর্গা চাষী দের গুরুতর আহত করে। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাইফুলের মৃত্যু হয়।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী জানান, ঘটনার সংবাদ পাওয়ার পরপরই মহেশখালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল হতে তিনজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। একজনকে স্থানীয় জনতা আটকে রেখে পুলিশের হাতে তুলে দেয়, ঘটনার সাথে জড়িত কিনা তা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে মহেশখালী থানার একটি টিম অভিযান পরিচালনা করছে।
এ জাতীয় আরো খবর..