×
  • প্রকাশিত : ২০২৫-০২-০১
  • ৩৩ বার পঠিত
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিস্টার রেজাল্ট ও হলের সিট বরাদ্দ নিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘ ১১ মাসেও প্রথম সেমিস্টারের রেজাল্ট প্রকাশ না হওয়ায় হলে সিট বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী।
এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগ, হল প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ঘোরাঘুরি করেও কোনো সমাধান পাননি বলে উঠে এসেছে অভিযোগ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা জানান, তারা ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সালে প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষা শেষ করেন। কিন্তু প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও ফলাফল প্রকাশ হয়নি। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে সিট বরাদ্দের আবেদনে মার্কশিট দেখাতে না পারায় তারা হলে সিট পাননি।
একই অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ এবং ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের। তবে অন্যান্য বিভাগের প্রায় শতভাগ শিক্ষার্থী আসন নিশ্চিত করতে পেরেছেন হলে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘সকাল থেকে বিভিন্ন অফিসে ঘুরছি, কিন্তু কেউ কোনো সমাধান দিচ্ছে না। প্রভোস্ট বলছেন, ‘ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে কথা বলো’। ডিপার্টমেন্ট বলছে, ‘আমাদের কিছু করার নেই, ভিসির কাছে যাও’। ভিসি অফিসে গেলে বলা হচ্ছে, স্যার ব্যস্ত, সময় দিতে পারবেন না। এমনকি পিএসও আমাদের সঙ্গে উঁচু স্বরে কথা বলেছেন।’
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, রেজাল্ট প্রকাশ না হওয়া এবং সিট বরাদ্দ না পাওয়ার দায় কেউই নিচ্ছেন না। ফলে তারা চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন। দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা।
তারা বলেন, ‘দ্রুত সমাধান না হলে তারা আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গড়িমসির কারণে একদিকে একাডেমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি, অন্যদিকে থাকার জায়গা না পেয়ে দিন কাটাচ্ছি দুশ্চিন্তায়।’
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘হলের সিট বরাদ্দের আবেদন গ্রহণ প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের সর্বশেষ প্রকাশিত মার্কশিট চাওয়া হয়েছে। এখন কেউ মার্কশিট দেখাতে না পারলে তার আবেদন পরিপূর্ণভাবে সম্পন্ন বলে বিবেচিত হবে না। নিয়ম মেনেই হলের সিট বরাদ্দ দেয়া হবে।’
এদিকে, হলের সিট বরাদ্দের ভাইভার ফলাফল প্রকাশিত হলে দেখা যায়, বিভিন্ন ব্যাচের বর্তমান শিক্ষার্থীদের পূর্বে অ্যালোটমেন্ট পাওয়া সিট বাতিল হয়ে গেছে। একই সিট দেওয়া হয়েছে নতুন কাউকে। ইতোমধ্যে কোনো ছাত্র অবস্থান করছেন, ফলে নতুনরা হলে উঠতে গেলে দেখা দেয় বিপত্তি।
এ প্রসঙ্গে হল প্রাধ্যক্ষ বলেন, ‘নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ করে অ্যালোটমেন্ট কার্ড সংগ্রহ করতে বলা হয়েছিল। যারা সংগ্রহ করেননি তাদের আসন বাতিল হয়েছে। এ সমস্যার সমাধান নিয়ে কাজ করছে হল প্রশাসন।’

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat