×
  • প্রকাশিত : ২০২৫-০২-০৫
  • ১০ বার পঠিত
এস কে. আরিফ, কয়রা(খুলনা) :
খুলনার কয়রায় সমম্ময়ক পরিচয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞতানামা ১০/১৫ জনের বিরুদ্ধে কয়রা থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগ হয়েছে। ৩ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আমিন এন্ড কোং লিঃ এর ম্যানেজার রামপাল থানার গৌরম্ভা গ্রামের আব্দুল হাই মোল্লার ছেলে মোঃ রাসেল মোল্লা ২ নং কয়রা গ্রামের সবুর সানার ছেলে এসকে গালিবকে ১ নং আসামী করে কয়রা থানায় অভিযোগ করেছেন। অন্যান্য অভিযুক্তরা হলেন মদিনাবাদ গ্রামের সামছুর রহমান সানার মেয়ে নুসরাত ঐশি, শাকবাড়িয়া গ্রামের রবি বাইনের ছেলে উজ্জল বাইন,মতিয়ার সরদারের মেয়ে মিনারা খাতুন, জবেদ সরদারের ছেলে মতিয়ার সরদার,বিহারী লাল বাইনের ছেলে রবিন্দ্রনাথ বাইন, রবিন্দ্রনাথ বাইনের স্ত্রী সাবিত্রী, মতিয়ার রহমানের স্ত্রী ফাতেমা ও বেদকাশী (দিঘিরপাড়ের) শহর ঢালীর ছেলে মনিরুল ইসলাম। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে ,কয়রা থানাধীন উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের শাকবাড়িয়া এলাকায় পানিউন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ নির্মান কাজটি পায় আমিন এন্ড কোং লিঃ । কাজটি ২ বছর যাবত চলমান রয়েছে। এমতবস্থায় গত ২ ফেব্রয়ারী সন্ধায় উল্লেখিত ১ ও ২ নং বিবাদী সমম্ময়ক পরিচয় দিয়ে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে কাজ বন্ধ করে দেয়। এবং বেড়িবাঁধ নির্মান কাজে বাধা সৃষ্টি করে। প্রতিবাদ করলে তারা আমার অধিনস্থ বিপুল শেখ, হৃদয় মোল্লা,শাওন শেখ ও বায়জিদ মোল্লাকে লোয়ার রড দিয়ে মারপিট করে জখম করে। এসময় বাদির পকেটে থাকা ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা জোর পূর্বক কাড়িয়া নেয়। তখন আমাদের হাক চিৎকারে আশে-পাশের লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের কবল হতে আমাকে ও আমার অধিনন্থ লোকজনকে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে তারা আমাদের কোম্পানির ড্রাইভার বিপুলকে জোর পূর্বক আটক করে বাড়িতে নিয়ে যায় এবং হুমকী দিয়ে জানায় বেড়িবাঁধের কাজ করতে হলে ২ লাখ টাকা চাঁদা দিয়ে কাজ করতে হবে। না হলে কাজ করতে দেয়া হবেনা। তখন আমি নিরুপায় হয়ে কাটকাটা ফাঁড়ি পুলিশের মাধ্যমে বিপুলকে উদ্ধার করতে সক্ষম হই। এসময়ে আহতদের জায়গীরমহল হাসপাতালে ভর্তি করে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। বর্তমানে তাদের হুমকির কারনে বেড়িবাঁধের নির্মান কাজ বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শান্তি শৃঙ্খলা ব্যহত হওয়ার সম্ভবনা থাকায় থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিন করেছি। খুলনা জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক তাসনিম আলম এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনার বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে জানাবো। এব্যাপারে কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিএম ইমদাদুল হক বলেন,  দু’পক্ষই থানায় অভিযোগ করেছে। 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat