×
সদ্য প্রাপ্ত:
জকিগঞ্জে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত-১ ধুনটে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কর্মসূচি প্রতিহত করতে ছাত্রদলের অবস্থান কর্মসূচি পালিত ভৈরব পালিত হয় জাতীয়তাবাদী ছাত্র দলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষী বীরগঞ্জে সরিষা চাষ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা সাতক্ষীরায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দলন কেন্দ্রীয় ঘোষিত জেলা কমিটি বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন রাজশাহীর বাগমারায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু শাহজাদপুর সিএসএফ গ্লোবালের সেন্টার পরিদর্শন করলেন ইরানের রাষ্ট্রদূত মনছুর চাভসী কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের নতুন কমিটি ঘোষণা টেকনাফে কোস্ট গার্ডের সঙ্গে গুলাগুলি, ১ মাদক কারবারি নিহত সাতক্ষীরায় ৩টি বিদেশি পিস্তলসহ ডিবি পুলিশের হাতে আটক ১
  • প্রকাশিত : ২০২৫-০১-০২
  • ২২ বার পঠিত
সাগর হোসাইন,বদলগাছী,প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার আধাইপুর ইউপির বিষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিনা মূল্যের পাঠ্যবইয়ের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল বুধবার বিকেলে সাত-আটজন অভিভাবক  বলেন, বিষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিনা মূল্যের পাঠ্যবই পেতে শিক্ষার্থীদের টাকা গুনতে হয়েছে। প্রতি সেট বইয়ের জন্য শিক্ষকেরা ২০০ টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন।
উপজেলার আধাইপুর ইউপি বিষ্ণপুর বিদ্যালয় পার্শ্ববর্তী রসূলপুর গ্রামের আবু তালেব এর স্ত্রী বলেন, আমার মেয়ে রুবাইয়া ইয়াসমিন চতুর্থ শ্রেনীতে রয়েছে, তার জন্য পাঠ্যবই নিতে গেলে প্রধান শিক্ষাক লিলি পারভীন ২০০ টাকা দাবি করেন। এছাড়াও ঐ এলাকার তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী নন্দ, অরন্য সহ আরো অনেকের কাছে থেকে পাঠ্যবই দিয়ে ২০০ টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসা. লিলি পারভীন বলেন, পাঠ্যবইয়ের জন্য টাকা নেওয়ার অভিযোগ সত্য নয়। আমরা গরীর শিক্ষার্থীদের দারিদ্র্যতা বিমোচনের জন্য ২০০ টাকা করে নিয়েছি, পাঠ্যবই বিতরণের প্রথম দিন মোট ৯ জনের কাছে ২০০ টাকা নেওয়া হয়েছে। এই টাকা ও আমাদের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের অনুদান একত্র করে তাদের মধ্যেই পূনরায় বিতরণ করা হয়। দারিদ্র্য পরিবারের শিক্ষার্থীদের টাকা দেওয়া এবং নতুন বই বিতরণের সময় যে টাকা নেওয়া হয় তার কোন কমিটির রেজুলেশন রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোন কাগজপত্র তো নেই।

উপজেলার রসূলপুর গ্রামের মাফিজুল শ্রীকৃষ্ণ সহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরো অনেকে জানান, প্রধান শিক্ষক নিজ এলাকার সুবাধে আরো আগে থেকেই স্কুল সংস্কারের কথা বলে এ রকম টাকা নেয়। যার কোন হিসেবে পত্র নেই। এভাবে একটি সরকারি স্কুলে বিনামূল্যে বই দেওয়ার দিনে নগদ টাকা নেওয়া পুরোপুরি অনিয়ম। আমরা এর একটা সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি।

মুঠোফোনে কথা হলে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মিজানুর রহমান জানান, বিষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আমি নিজে উপস্থিত থেকে বিনামূল্যে বই বিতরণ করেছি। তখন কোন টাকা নেওয়া হয়নি। আপনি চলে যাওয়ার পরে এমন কাজ করা হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন প্রাধান শিক্ষক লিলি পারভীন এমন কোন নিয়ম রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি আন-অফিসিয়াল, এমন কোন নিয়ম নেই। তবে বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং অভিভাবকগণ সমন্বয়ে বিদ্যালয়ের মান উন্নয়নের জন্য তারা নিজেরাই এ রকম উদ্যোগ হয়তো নিয়েছে। তবে তার জন্য লিখিত রেজুলেশন এবং কমিটি থাকতে হবে।


উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম বলেন, পাঠ্যপুস্তক দেওয়ার নামে কোন টাকা অথবা দারিদ্র্য বিমোচন ও অনগ্রসর শিক্ষার্থীদের মান উন্নয়নের জন্য আলাদা কোন টাকা নেওয়ার নিয়ম অফিশিয়ালভাবে নেই। তবে বিষয়টি আমার জানা নেই, সত্যতা পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat