রনজিৎ সরকার রাজ, দিনাজপুর
রবিশস্য চাষ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। দিনাজপুরের বীরগঞ্জে সাধারণত, নভেম্বরের শুরু থেকেই রবিশস্যের আবাদ শুরু করেন কৃষকরা। চলতি মৌসুমে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সরিষা আবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এউপজলায় আলু, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মূলাসহ অন্যান্য শীতকালীন সবজি উৎপাদনে কৃষকেরা গুরুত্ব দেয়ার কারণে দিনাজপুরের বীরগঞ্জে এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে তুলনামূলক ভাবে সরিষার চাষ কম হয়েছে।
শীতকালে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ফসলের মাঠ জুড়ে সরিষা ফুলের হলুদ সমারোহ যেন উম্মাদনার বার্তা বহন করে, অনুপ্রেরণা জাগায় কবিদের মাঝেও।
তাই তো রয়েছে হাজারও কবিতা। সরিষা ফুল থেকে মৌমাছি প্রচুর খাঁটি মধু আহরণ করে।
কৃষকেরা নভেম্বর মাস থেকেই রবি শস্যের আবাদ শুরু করায় চলতি মৌসুমে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সরিষার প্রতি অমনোযোগী হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা পুরন করা সম্ভব হয়নি।
উপজেলার নিজপাড়া, শতগ্রাম, শিবরামপুর, মরিচাসহ বিভিন্ন এলাকা সরজমিনে মাঠে ঘুরে দেখা যায়, বেশ কিছু জমিতে সরিষা ফুলের সোনালি রঙের বাহার।
এ ফুলের সমারোহ যেমন সুন্দর তেমনি হৃদয়ে এনে দেয় প্রশান্তির অনুভূতি। প্রকৃতি প্রেমীরা শীত মৌসুমে গ্রামে এসে সরিষা ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করে, যেন এক অপরূপ দৃশ্যের অবতারণা সৃষ্টি হয়।
কৃষকেরা জানান বারি-১৪ ও বারি-১৫ জাতের সরিষা ফুল ও ফলে বেশ ভাল হয়।
নিজপাড়া ইউপি’র জগদীশপুর গ্রামের শাহিন, মরিচা ইউপি’র হাসিনুর চৌধুরী, শিবরামপুর ইউপি’র রফিকুল এবং শতগ্রাম ইউপি’র কৃষক নুর আলম বলেন তারা এ বছর ৫ থেকে ৬ বিঘা করে জমিতে বারি-১৪ ও ১৫ জাতের সরিষা চাষ এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো ফলনের আশা করেছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়,শীতকালীন সবজির মধ্যে সরিষা, আলু, ফুলকপি, বাধাকপি, লাউ, রসুন, পেঁয়াজ, ধনিয়া, মূলা খেসারি, চিনা বাদাম, গম-ভুট্টা ও আলু চাষ উল্লেখযোগ্য।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, কৃষকদের প্রশিক্ষনসহ সার বীজ ও বিভিন্ন উপকরন দিয়ে সহযোগিতার পাশাপাশি সব সময় পরামর্শ প্রদান করা হয়।
তিনি আরও জানান, আলু ও ভুট্টা আবাদ বেশি হওয়ার কারণে এ বছর সরিষা চাষে এবছর তুলনামূলক উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বীরগঞ্জে এ বছর ৪ হাজার ৯ শত ৪৬ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল কিন্তু কৃষকেরা ৩ হাজার ৪ শত ১৭ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ করছেন, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম।
এ জাতীয় আরো খবর..