ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে ঠাকুরগাঁও জেলায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত কয়েকদিন ধরে শৈত্যপ্রবাহের প্রভাবে তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৬-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষদের জীবনযাপন হয়ে উঠেছে দুর্বিষহ।
রাতের বেলায় ঠাণ্ডার তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় খোলা আকাশের নিচে থাকা গৃহহীন মানুষ এবং ফুটপাতে বসবাসকারীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাদের জন্য পর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের অভাব প্রকট হয়ে উঠেছে। দিনমজুর, রিকশাচালক এবং অন্য শ্রমজীবী মানুষেরা কাজে বের হতে পারছেন না, ফলে তাদের আয় বন্ধ হয়ে গেছে। বরুনাগাও এলাকার আব্দুল মজিদ জানান,হুট করে শীত পড়েছে, গরমকাপড়ের অভাবে আগুন জ্বালিয়ে রাত্রি যাপন করতে হচ্ছে। একটা গরম কাপড় দিলে উপকৃত হতাম।
স্থানীয় প্রশাসন , বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্ররা ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো শীতার্ত মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে। তবে এই সহায়তা যথেষ্ট নয় বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরি ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে।
ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে শিশুরা নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার শিকার হচ্ছে, আর বৃদ্ধদের মধ্যে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার প্রকোপ বেড়েছে।
শৈত্যপ্রবাহ কতদিন স্থায়ী হবে তা নিশ্চিত নয়। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, পরিস্থিতি শিগগিরই স্বাভাবিক হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই জেলার মানুষকে সতর্ক থাকার পাশাপাশি শীতবস্ত্র ও স্বাস্থ্যসেবায় আরও সহযোগিতার প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রাকৃতিক এই বৈরী পরিস্থিতিতে ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষ বিশেষ করে দরিদ্র শ্রেণির মানুষ কঠিন সময় পার করছেন। এ সময়ে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ আরও জোরদার হওয়া প্রয়োজন, যেন এই বিপর্যয় কিছুটা হলেও লাঘব করা যায়।
এ জাতীয় আরো খবর..