মোঃ মুনির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ
নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায় গ্রুপিং একটি সাধারণ ঘটনা। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুই আসনেই গ্রুপিং চলছে। বিএনপির অর্ধশত প্রার্থী মাঠে। কর্মিসভা, সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে নির্বাচনি মাঠ গোছাচ্ছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা।
নানা অনুষ্ঠানে তাদের সরব উপস্থিতি যেন নির্বাচনের আগমনী বার্তা দিচ্ছে। সপ্তাহের শুক্র-শনিবার এ দুদিন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন তারা। সম্ভাব্য প্রার্থীরা বিভিন্ন এলাকায় কর্মী সভা, আলোচনা সভাসহ সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন। এতে দলের অভ্যন্তরে নির্বাচনি আমেজ বিরাজ করছে। মনোনয়ন পেতে যার যার মতো করে কেন্দ্রেও যোগাযোগ বাড়িয়েছেন। আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলার সবকটি আসন থেকে অর্ধশতাধিক বিএনপির প্রার্থী মাঠে কাজ করছেন।
অন্যদিকে গ্রুপিং আর দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আহ্বায়ক কমিটিসহ প্রতিটি উপজেলা শাখা বিএনপিতে। দেখা দিয়েছে সংগঠনের মধ্যে বিভক্তি। জেলার ৯টি উপজেলায়ই ২ থেকে ৩টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে আছে বিএনপি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) : এই আসনেও বিএনপি ২টি গ্রুপে বিভক্ত। একটি হচ্ছে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা এবং অপরটি স্থানীয় বিএনপি নেতা নুরুজ্জামান লস্কর তপুর গ্রুপ। এই আসন থেকে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়ে জোরেশোরে প্রচারণা চালাচ্ছেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। তিনি প্রায় প্রতি সপ্তাহেই তার নির্বাচনি এলাকার দুটি উপজেলা সরাইল ও আশুগঞ্জে বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছেন। গত ২৯ নভেম্বর সরাইল উপজেলা সদরের অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত রুমিন ফারহানার জনসভায় মানুষের ঢল নামে। এই আসনে দলের মনোনয়ন পেতে আরও কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ শামীম, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের মহাসচিব এসএন তরুণ দে, সরাইল উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান লস্কর তপু, জেলা বিএনপির সদস্য আহসান উদ্দিন খান শিপন, আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবু আসিফ আহমেদ। যোগাযোগ করা হলে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, সরাইল ও আশুগঞ্জে আমার জনসভাই প্রমাণ করে এলাকায় আমার জনপ্রিয়তা কতটুকু। আগামী নির্বাচনের জন্য আমি শতভাগ প্রস্তুত আছি।
এ জাতীয় আরো খবর..