খামারে একটি ডিমের উৎপাদন ব্যয় পড়ে সর্বোচ্চ সাড়ে ১০ টাকা। খুচরা পর্যায়ে এই ডিম কোনোভাবেই ১২ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়। অথচ ১০ দিনের বেশি সময় ধরে একটি ডিম ১৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। অর্থাৎ ডিমপ্রতি ব্যবসায়ীরা তিন টাকা বেশি লাভ করেছেন।
দেশে এক দিনে ডিমের চাহিদা চার কোটি। প্রতি ডিমে তিন টাকা বেশি মুনাফা করায় এ সময় ১২ কোটি টাকা মুনাফা হয়েছে। ১০ দিনে মুনাফা হয়েছে ১২০ কোটি টাকা।
গতকাল সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে ডিমের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে ডিম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান (ফার্ম, করপোরেট), এজেন্ট-ডিলার ও ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যদের অংশগ্রহণে মতবিনিময়সভায় এ চিত্র তুলে ধরেন ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান।
আগামী বুধবার থেকে অভিযানে নামছে ভোক্তা অধিদপ্তর। এ সময় ডিম বিক্রির ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলো পাকা রসিদ নিশ্চিত করতে না পারলে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ভোক্তার মহাপরিচালক।
তিনি বলেন, ‘প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে ডিম উৎপাদনের সঠিক খরচ জেনেছি। খুচরায় কত দাম হবে সেটিও বলা হয়েছে।
কেউ ডিমের দাম ১২ টাকার বেশি নিলে তাদের বিরুদ্ধে শুধু জরিমানা নয়, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে।’
ডিমের নিলামপ্রক্রিয়া ত্রুটিপূর্ণ ও অনৈতিক উল্লেখ করে ভোক্তার মহাপরিচালক বলেন, এই খাতের বিশৃঙ্খলা রোধে ডিম ক্রয়-বিক্রয়ের পাকা ভাউচার নিশ্চিত করতে হবে। ডিম বিক্রির নিলামপ্রক্রিয়াও উন্মুক্ত হতে হবে, যাতে এতে সবাই অংশ নিতে পারে।
পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, ডিমের উৎপাদন খরচ ১০.৮০ থেকে ১০.৮৫ টাকা। খুচরা মূল্য ১৩ টাকা হওয়া উচিত।
তেজগাঁও বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. আমান উল্লাহ বলেন, এসএমএসের মাধ্যমে ডিমের মূল্য নির্ধারণ প্রক্রিয়া বন্ধ করতে হবে।
এ জাতীয় আরো খবর..