খন্দকার মোহাম্মদ আলী, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, জুয়ারি, মাদক ব্যবসায়ী, খুন এবং অপহরণসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার আসামী গ্রেফতারে র্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় মোহাম্মদ কামরুজ্জামান পিপিএম, অধিনায়ক র্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ এর দিকনির্দেশনায় এবং র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় গত ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ, দুপুর ০১.৪৫ ঘটিকায় র্যাব-১২, সদর কোম্পানির একটি চৌকস আভিযানিক দল “সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানাধীন হাটিকুমরুল রোডস্থ জাকস ফাউন্ডেশন এর সামনে ঢাকা হতে রংপুরগামী মহাসড়কের উপর” একটি মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৬১ কেজি গাঁজাসহ ০৪ জন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এছাড়াও তাদের সাথে থাকা গাঁজা পরিবহন ও ক্রয়-বিক্রয় কাজে ব্যবহৃত ০৬টি মোবাইল ফোন, ০২টি প্রাইভেট কার এবং নগদ ৪,৮০০/- টাকা জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামিগণ ১। মোঃ হুমায়ূন কবির (৪২), পিতা-মৃত বেলাল হোসেন, সাং-নিমধি, ২। মোঃ আল আমিন (৩০), (ড্রাইভার), পিতা-মোঃ আলম, সাং-ইন্দ্রকুল, উভয় থানা-বাউফল, জেলা-পটুয়াখালী, ৩। মোঃ জুয়েল বেপারী (৩২), পিতা-মোঃ সিরাজ বেপারী, সাং-চর ফ্যাশন, থানা-চরফ্যাশন, জেলা-ভোলা, ৪। মোঃ ফরিদ (৩০), (ড্রাইভার), পিতা-মৃত শহিদুল্লাহ, সাং-দোইয়ারা একাতরী, থানা-শাহারাস্থী, জেলা-চাঁদপুর।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আসামিগণ দীর্ঘদিন যাবৎ লোকচক্ষুর আড়ালে রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা হতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় তাদের নিজস্ব প্রাইভেট কার যোগে পরিবহন করে গাঁজা ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামিগণের বিরুদ্ধে সলঙ্গা থানায় ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ধরণের মাদক উদ্ধার অভিযান সচল রেখে মাদকমুক্ত সোনার বাংলা গঠনে র্যাব-১২ বদ্ধপরিকর।
র্যাব-১২ কে তথ্য দিন - মাদক, অস্ত্রধারী ও জঙ্গিমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে অংশ নিন।
এ জাতীয় আরো খবর..