রিপোর্টার বগুড়া :
বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের মোকামতলায় বিশ্বরোডের দুই পাশে রাস্তার ওপরে গড়ে উঠেছে সিএনজি চালিত অটোরিকশার অপরিকল্পিত স্ট্যান্ড। এতে মহাসড়কে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক যান চলাচল। ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এসব অটোরিকশার কারণে এলাকাবাসীর চলাফেরা দুঃসহ হয়ে পড়েছে। সড়কের ওপর সিএনজি চালিত অটোরিকশাগুলো সাঁরি করে রাখায় পথচারীদের চলাচলের বিঘ্ন ঘটছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের মোকামতলায় বিশ্বরোডের দুই পাশে সিএনজি অটোরিকশার রাজত্ব। মোকামতলায় মহাসড়কের পশ্চিমে মোকামতলা টু জয়পুরহাট সিএনজি স্ট্যান্ড, পূর্বপাশে মোকামতলা টু রহবল সিএনজি স্ট্যান্ড ও মোকামতলা টু বগুড়া সিএনজি স্ট্যান্ডগুলোতে মহাসড়কের ওপর সিএনজি চালিত অটোরিকশা সাঁরিবদ্ধ করে রাখা হয়। এতে করে সড়ক দিন দিন সংকুচিত হচ্ছে। ফলে যানজটের পাশাপাশি প্রায়ই ঘটছে মারাত্মক দুর্ঘটনা।
বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা মোকামতলা বিশ্বরোড এলাকা। সারাদেশের সাথে যোগাযোগের জন্য এ জায়গাটি অতিক্রম করতে হয়। এজন্য প্রতিদিন এখানে কয়েক'শ গণপরিবহনের যাত্রী উঠা-নামা করে।
মোকামতলায় মহাসড়কের পশ্চিমে ইউনিয়ন পরিষদ, মোকামতলা মহিলা ডিগ্রি কলেজ, মোকামতলা উচ্চ বিদ্যালয়, মোকামতলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাস্টারমাইন্ড পাবলিক স্কুল এ্যান্ড কলেজ, জামে মসজিদ, কয়েকটি রাজনৈতিক দলের কার্যালয়, খেলার মাঠ, ও বেসরকারি সংস্থার কার্যালয়সহ আবাসিক এলাকা গড়ে উঠেছে। অপরদিকে মহাসড়কের পূর্ব পাশে মোকামতলা ইউনিয়নের বৃহৎ হাট, সরকারি ভূমি অফিস, বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, রুপালী ব্যাংক, সোনালি ব্যাংক সহ বেশ কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংক, গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ও আবাসিক এলাকা গড়ে উঠেছে। মহাসড়কের উভয় পাশে অবস্থিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় কাজ ও সেবা নিতে পারাপার হতে হয় হাজারো মানুষকে। বন্দরে পারাপারের জন্য এক জায়গায় মহাসড়কের রোড ডিভাইডার ১০ ফিট ফাঁকা রাখা হয়েছে। কিন্তু সেখানে পারাপার হতে রাস্তার ওপরে সাঁরিবদ্ধ করে রাখা এসব সিএনজি চালিত অটোরিকশাগুলোর বাঁধার সম্মুখীন হতে হয় পথচারীদের। এতে করে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তাঁরা। একই অবস্থা মোকামতলা-সোনাতলা আঞ্চলিক মহাসড়কে। এই সড়কে পরপর দুটি স্ট্যান্ড সড়কের ওপরেই অবস্থিত। অটোরিকশাগুলো রাস্তার ওপর স্ট্যান্ড করার কারণে রাস্তা অনেকটা সংকুচিত হয়েছে। যার ফলে সারাদিন যানজট লেগেই থাকে সড়কটিতে। এদিকে মোকামতলায় মহাসড়কে দুর্ঘটনা এড়াতে চৌমাথায় ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী সাজু আহমেদ বলেন, মোকামতলা মহাসড়ক একটি ব্যস্ততম সড়ক। এই সড়কে প্রতিদিন হাজার হাজার গাড়ি চলাচল করে। এখানে মহাসড়কের ওপরে সিএনজি চালিত অটোরিকশা রাখার কারণে আমরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছি। যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে সোনাতলা রোডে ২ মিনিটের রাস্তা অতিক্রম করতে সময় লাগে ২০ মিনিট। মেইন রোড থেকে যত্রতত্র সিএনজিগুলো সরিয়ে দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বলেও জানান তিনি।
বগুড়ার সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান জানান, এবিষয়ে হাইওয়ে পুলিশের সাথে কথা বলবো এবং মহাসড়ক থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশা সরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
কুন্দারহাট হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোনারুজ্জামান জানান, মহাসড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমরা তাঁদেরকে সচেতন করছি। তারা যেন শৃঙ্খলভাবে চলাচল করে সেজন্য আমরা আইনি প্রক্রিয়ায় কাজ করতেছি।
এ জাতীয় আরো খবর..