আবারও রাজপ্রাসাদে ফিরতে চান ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের ছোট ছেলে প্রিন্স হ্যারি। ভাই প্রিন্স উইলিয়ামকে তিনি ফোন করেছিলেন বলেও এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মিরর। যদিও এ বিষয়ে উইলিয়ামের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে হ্যারির আত্মজীবনীমূলক বই ‘স্পেয়ার’ প্রকাশের পর রাজপরিবারের সঙ্গে তার যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে, তা সহজে মিটবে না বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারি। ছবি: সংগৃহীত
প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারি। ছবি: সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২ মিনিটে পড়ুন
ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের দুই ছেলের মধ্যে দূরত্ব ঘুচতে যাচ্ছে- এমন গুঞ্জন শুরুর পর থেকেই নতুন করে আবারও আলোচনায় এসেছেন প্রিন্স উইলিয়াম ও হ্যারি।
রাজ পরিবার ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় বাস করা প্রিন্স হ্যারি আবারও প্রাসাদে ফিরতে চান বলে রাজপরিবারের ঘনিষ্ঠ এক সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।
বলা হচ্ছে, প্রিন্স হ্যারি তার ভাই উইলিয়ামকে সম্প্রতি ফোন করেছিলেন। উইলিয়ামকে ফোন করে হ্যারি ‘নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির’ অবসান চেয়েছেন বলেও দাবি ওই সূত্রের।
মিররের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগান আবার লন্ডনে ফিরতে চান এবং রাজা চার্লসের সঙ্গে রাজপরিবারের কাজে যোগ দিতে চান।’
তবে প্রিন্স হ্যারির সেই ফোন কলের পর কেউ কাউকে আর কল করেননি বলে জানা গেছে। স্পটিফাই চুক্তি বাতিল হওয়ায় বেশ সংকটে পড়ে যান প্রিন্স হ্যারি ও মেগান। এরপরই ভাই প্রিন্স উইলিয়ামকে ফোন করেছিলেন হ্যারি।
একসময় দুই ভাইয়ের মধ্যে দারুণ সম্পর্ক ছিল। মেগানকে বিয়ের পর কিছু কারণে ভাই উইলিয়ামের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে হ্যারির। এক পর্যায়ে হঠাৎই রাজকীয় জীবন ছেড়ে ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় পাড়ি জমান এই দম্পতি।
চলতি বছর জানুয়ারিতে প্রকাশিত হয় হ্যারির আলোচিত আত্মজীবনীমূলক বই ‘স্পেয়ার’। হ্যারি বইটিতে রাজপরিবারের নানা বিষয় তুলে ধরে ব্যাপক সমালোচনা করেন। এরপর তার বাবা এবং ভাইয়ের সঙ্গে দূরত্ব আরও বেড়ে যায়। সেই দূরত্ব ঘুচিয়ে আবারও আগের অবস্থান তৈরি করা প্রিন্স হ্যারির জন্য সহজ হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
এ জাতীয় আরো খবর..